জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: থিম পুজোর পাশাপাশি এবার দুর্গা প্রতিমা তৈরিতে চমক। বাংলাদেশে কিছুটা উদ্বেগের মধ্যেই এবার হচ্ছে দুর্গা পুজো। নাটোরে এবার ৫০,০০০ ধান দিয়ে দুর্গা প্রতিমা তৈরি করে ফেললেন শিল্পী বিশ্বজিত্ পাল ও গোপাল চন্দ্র পাল। ওই প্রতিমা তৈরি হয়েছে লালবাজারস্থ কদমতলার রবি সূতম সংঘের পূজামণ্ডপে। ধান দিয়ে তৈরি প্রতিমা ওই অঞ্চলে এই প্রথম।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-জয়নগরকাণ্ডে কল্যাণীর JNM হাসপাতালে ময়নাতদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের!


ইতিমধ্যে ধানের প্রতিমা দেখতে ভিড় করছেন অনেকে। সোনালি রঙের ধান দিয়ে তৈরি প্রতিমাগুলো দেখে যেন মনে হচ্ছে সোনা দিয়ে মোড়ানো। ছোট ছোট ধান বসানো হয়েছে পুঁথির মতো। দেখতেও লাগছে অপরূপ।


বহু বছর আগে স্বর্গীয় নিমাই চন্দ্র পাল নাটোর শহরের লালবাজারে প্রতিমা তৈরির একটি কারখানা গড়ে তোলেন। তার হাতের তৈরি প্রতিমার বেশ কদর ছিল। নিখুঁত হাতে চমৎকারভাবে প্রতিটি প্রতিমা শিল্পকর্মের মাধ্যমে সাজিয়ে তুলতেন তিনি। ফলে নাটোর জেলার বাইরেও তার হাতের তৈরির বিভিন্ন দেবীর প্রতিমার বেশ চাহিদা ছিল। তার মৃত্যুর পর অল্প পরিসরে প্রতিমা তৈরির কাজ করেন তার ছেলে বিশ্বজিৎ পাল এবং ছোট ভাই গোপাল চন্দ্র পাল। এ বছর তারা দুজনে মিলে ব্যতিক্রমভাবে ধান দিয়ে একটি দুর্গাপ্রতিমা তৈরি করেছেন। এ প্রতিমা তৈরিতে তারা ৫০ কেজি ধান ব্যবহার করেছেন। ১১ ফুট উচ্চতার এ দুর্গা প্রতিমা ৯৫ হাজারে বিক্রি করেছেন। একটি একটি করে ধান গেঁথে দুর্গা প্রতিমাটি তৈরি করতে সময় লেগেছে প্রায় ২০ দিন।


এ ব্যাপারে গোপাল চন্দ্র পাল জানান,  এই মণ্ডপে দুর্গা, কার্তিক গনেশ, সরস্বতী, লক্ষ্মী, অসুরসহ অনুষঙ্গিক প্রতিমা তৈরির জন্য প্রথমে কাঠ, বাঁশ ও বিচুলির ফ্রেম বা কাঠামো তৈরি করা হয়। পরে তাতে মাটি দিয়ে প্রতিমার আকৃতি আনা হয়। সেগুলো শুকিয়ে যাওয়ার প্রাক্কালে মাটি নরম থাকতে প্রতিমাজুড়ে ধান বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। ধান এমনভাবে বসানো হয়েছে যাতে দেখলে মনে হবে প্রতিমাগুলো ধান দিয়েই তৈরি। এগুলো শুকিয়ে যাওয়ার পর প্রতিমার কিছু কিছু অংশ বিভিন্ন রং স্প্রে করা হয়েছে।



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)