ঋতুপর্ণা ভট্টাচার্য: আয়োজন ছোট্ট , তবে স্বপ্ন ছিল আকাশচুম্বী।  ২০১০ সালের এমনই এক সময় বেশ কিছু বাঙালির উদ্যোগে প্রথম দুর্গোৎসব শুরু হয়েছিল বেসেলে। মাত্র তিন ফুটের প্রতিমা দিয়েই পথ চলা শুরু করেন তাঁরা।  স্থায়ী বাঙালির ভীষণই অভাব দেশে, যারা আছেন তাঁদের বেশিরভাগই পোস্ট গ্র্যাজুয়েটের ছাত্র। তবে তাঁদের মিলিত প্রয়াসে পুজো আদেও হবে কি না তা নিয়ে বেশ  টানাপোড়েন মধ্যেই ছিল সকলে। তবে সমস্ত বাধা কাটিয়ে উঠে চার বছর পর ২০১৪ সালে দ্বিতীয়বারের জন্য বেজে উঠল ঢাকের তালে মায়ের আগমন করল বেসেলের ওই গুটিকয়েক বাঙালি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Durga Puja 2022: হেলসিঙ্কির কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করেই রস্কা-ময় রঙিন পুজো!



 সেই সময় বাঙ্গালিদের উদ্যোগে মায়ের মূর্তি এই দেশে মাটিতে এলে, তা আর শুধু বাঙালিদের মধ্যেই আর সীমাবদ্ধ রইল না। দ্বিতীয় প্রজন্মকে শেকড়ের স্বাদ অনুভব করানোর জন্য মিটে গেল রাজ্যের বিভেদ।  সবাই তখন এক হয়ে মেতে ওঠে পুজোর আনন্দে। পুজোর সময় একেবারে নিয়মমাফিক ভোগেরও ব্যবস্থা থাকে মণ্ডপে। ভোগ বলতে কেবল বাঙালিদের জন্যই নয়, বরং সকলের জন্য থাকে স্বাত্তিক ভোগের আয়োজনও।


পড়ুন, বাঙালির প্রাণের উৎসবে আমার 'e' উৎসব। Zee ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল শারদসংখ্যা



শুরুর দিকে রামকৃষ্ণ মিশনের পুরোহিতই থাকতেন পুজো করার দায়িত্ত্বে। তারপর পুরোহিত  হিসাবে আসেন একজন কোঙ্কনী সারস্বত ব্রাহ্মণ। জানা যায়, ইনি পেশায় একজন বিজ্ঞানী। পুজোর সময় নিয়ম মেনে চন্ডিপাঠও করেন তিনি। প্রবাসে নিয়ম নাস্তি, তবু যতটা সম্ভব আচার মেনেই পুজো করার চেষ্টা করে এলাকাবাসী। পুজোয় আচারের বা রীতিনিটির কিছু খামতি থাকলেও আয়োজনে থাকে নিষ্ঠা। তবুও কি শেষ রক্ষে হয়? এই তো একবার বেলপাতা আনা মানা হয়ে গিয়েছিল। একশ আটের জায়গায় থাইল্যান্ডের ফসল বিভ্রাটে এসেছিল পাঁচটা পদ্ম। মায়ের ক্ষমা চেয়ে নেওয়া ছাড়া আর তো উপায় নেই। তবুও শেকড় আঁকড়ে থাকার এই যে আকুতি সেজন্যেই হয়ত এই পুজোর একটা অন্য মাত্রা পেয়েছে সকলের কাছে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)