ওয়েব ডেস্ক: দুগ্গামায়ের বোধনে ফরাসডাঙা ও ফিলাডেলফিয়ায় কোনও তফাত নেই। কানসাস সিটি তো নয়, যেন কলুটোলার অভিজাত মেজাজ। কর্পোরেট খোলস ছেড়ে আমেরিকায় এখন ষোলোআনা বাঙালিয়ানা।দোল খাওয়া কাশ। শিশিরভেজা ঘাসে শিউলির সখ্য। তুলোট মেঘের পরিচিত অনুষঙ্গ। প্রবাসী মন আলো করে রয়েছে আশ্বিনের রোদ্দুর। আকাশের গায়ে সুরের মূর্ছনা। বাজল তোমার আলোর বেণু। সারা সপ্তাহের তুমুল ব্যস্ততা, কাজকম্মো সরিয়ে প্রবাসী মন উড়ুউড়ু। কর্পোরেট কালচারের সঙ্গে মিলেমিশে একাকার বাঙালির আবেগ, সংস্কৃতি। আগ্রহ তুঙ্গে। আনন্দ লাগামছাড়া। দুগ্গা-মরশুমে সপ্তাহান্তের ফরাসডাঙা আর ফিলাডেলফিয়ায় কোনও তফাত নেই। ৪দিনের পুজো সারতে হবে দুদিনেই। বোধন, সন্ধিপুজো, কুমারীপুজো, ধুনুচি নাচ, সিঁদুরখেলা, থাকতে হবে সবই। খাওয়াদাওয়াতেও বাঙালিআনা ষোলোআনা। সপ্তমী-অষ্টমীর পুজোয় জমায়েত হন প্রায় ৫০০ মানুষ। প্রতি বছর দেশে এবং প্রবাসে বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজেও ঘরোয়া বেঙ্গলি ক্লাব সহায়তা করে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন জলপাইগুড়ি শহরে একে অপরকে টেক্কা দিচ্ছে থিমের পুজো


পিছিয়ে নেই কানসাস সিটি। অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গলিজ, সঙ্গমের পুজো জমজমাট। মিসৌরিতে হুটোপুটি, লুটোপুটি। বাঙালি তো, শিকড় ভুলবেন কী করে। ঢাকের বোল ভুলিয়ে দিল ব্যস্ততার বারমাস্যা। চেটেপুটে  আনন্দ উপভোগ করল সাত থেকে সত্তর। নিজের মাটি থেকে বহু দূরে নিজেদের সংস্কৃতিতে মোড়া একটুকরো নিজস্বতায় প্রাণ ভরে দুদিন শ্বাস নেওয়া।


আরও পড়ুন  উত্সবে-আনন্দে সরগরম ডায়মন্ডহারবার