Elon Musk: শুধু জনসংযোগ নয়, এবার বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকা মস্তিষ্ক, স্নায়ু ও পেশিকেও জুড়বেন এলন...
Elon Musk`s Brain-implant Startup Neuralink: সম্প্রতি হইচই ফেলে দিয়েছে সুইৎজারল্যান্ডের একদল বিজ্ঞানীর তৈরি মস্তিষ্ক-সঞ্চালন যন্ত্র। তার কেরামতি দেখে তাজ্জব হয়ে গিয়েছিল মেডিক্যাল দুনিয়া। বিশাল ও ব্যাপক সেই বিপ্লবে এবার অংশ নিতে চাইছেন এলন মাস্কও। এতদিন মানুষে-মানুষে যোগাযোগ তৈরি করেছেন। এবার মস্তিষ্ক, স্নায়ু ও পেশিকে নতুন করে সংযুক্ত করতে সাহায্য করবেন। এ-ও তো একরকম কমিউনিকেশন!
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এলন মাস্ক বরাবরই খবরে থাকেন। সাম্প্রতিক কালে নিজের কোম্পানি ট্যুইটারকে কেন্দ্র করে নেওয়া তাঁর সিদ্ধান্তগুলি একের পর এক বিতর্ক তৈরি করেছে। কখনও এতে ছাঁটাই, কখনও এর নীতি নির্ধারণ, কখনও সিইও ঠিক করা-- ট্যুইটারের সব কিছু নিয়েই সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। এর আগে এলন মহাকাশ সংক্রান্ত বিষয়েও নাক গলিয়েছিলেন, এবার মেডিক্যাল সায়েন্সে। এবার এলন শুরু করলেন তাঁর স্টার্ট-আপ 'নিউরালিংক'! কী হবে সেখানে? মস্তিষ্কের জটিল রোগের নিরাময় হবে। মস্তিষ্কের জটিলতর কর্মকাণ্ডকে ডিকোড করা হবে!
সম্প্রতি হইচই ফেলে দিয়েছিল সুইৎজারল্যান্ডের একদল বিজ্ঞানীর তৈরি মস্তিষ্ক-সঞ্চালন যন্ত্র। তার কেরামতি দেখে তাজ্জব হয়ে গিয়েছিল মেডিক্যাল দুনিয়া। কী হয়েছিল? দুর্ঘটনায় মেরুদণ্ড ভেঙে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন এক যুবক। তাপর ওই সুইস যন্ত্রটির সাহায্যেই তাঁর চিকিৎসা করা হয়। প্রায় ১০ বছর পরে উঠে দাঁড়ান ওই যুবক। মেলে দারুণ সাফল্য। তিনি এতটাই সুস্থ হয়ে ওঠেন যে, তিনি হাঁটতেও শুরু করে দেন।
কিন্তু শুধু সুইৎজারল্যান্ডেই তো নয়, বিশ্ব জুড়ে বিজ্ঞানীরা নানা ক্ষেত্রে প্রযুক্তির বিপ্লব চালাচ্ছেন। আর সেই সব প্রযুক্তির মাধ্যমে মেডিক্যাল জগতেও ঘটছে নানা উত্তরণ। বিশাল ও ব্যাপক সেই বিপ্লবে এবার অংশ নিতে চাইছেন এলন মাস্কও। এতদিন তিনি সোশ্যালমিডিয়ার কর্ণধার হিসেবে মানুষে-মানুষে যোগাযোগ তৈরি করেছেন। তবে নিজের স্টার্ট আপ নিউরালিংক এলন এবার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া মস্তিষ্ক, স্নায়ু ও পেশিকে নতুন করে সংযুক্ত করতে সাহায্য করবেন। এ-ও তো একরকম কমিউনিকেশন!
আরও পড়ুন; Antarctica: দ্রুত গলছে বরফ, সমুদ্রস্তর বাড়বে ১০ ফুট! অচিরেই ডুববে পৃথিবী...
বোঝাই যাচ্ছে, এখানেই থেমে যাওয়ার মানুষ নন এলন। এই নিউরালিংক তাঁর স্টার্ট আপ। এর পরে ব্রেন-ইমপ্ল্যান্ট নিয়ে আরও ব্যাপকতর কাজ করার জন্য একাধিক ক্লিনিক খোলার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর। সার্জিক্যাল রোবটের সাহায্যে রোগীদের মস্তিষ্কে যন্ত্রটি প্রতিস্থাপন করা হবে। ওই যন্ত্রের সাহায্যেই মস্তিষ্কের সংবেদন রেকর্ড করতে পারে এমন যান্ত্রিক ব্যবস্থা বসানো হবে মানবদেহে।
এলনের সংস্থাটি একটি বিশেষ যন্ত্র নিয়েও বিরল মাপের গবেষণা চালাচ্ছে। গবেষণা করা হচ্ছে এমন প্রযুক্তি নিয়ে যাতে, মানুষ নিজের মস্তিষ্কের সাহায্যেই কম্পিউটার ইন্টারফেস নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। চিকিৎসাক্ষেত্রে এটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিতে পারে। নিউরালিংক জানিয়েছে, এই যন্ত্রের সাহায্যে কোনও ব্যক্তির হারানো দৃষ্টি ফিরতে পারে, হাঁটাচলার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলা কোনও ব্যক্তি নতুন করে হাঁটতেও পারবেন!
এলনের সংস্থা সরকারি ছাড়পত্রও পেয়েছে। মানবদেহে ব্রেন-ইমপ্ল্যান্ট সংক্রান্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা, যাকে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বলে এলনের সংস্থায় সেই কাজ করার অনুমতি দিয়েছে আমেরিকার 'ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন' (এফডিএ)।