নিজস্ব প্রতিবেদন : ৪৫ দিন পর মালদ্বীপে উঠল জরুরী অবস্থা। অবশেষে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরল দেশের পরিস্থিতি। তবে সেখানে এখই রাজনৈতিক অস্থিরতা মিটেছে এমনটা দাবি করতে পারছে না প্রশাসন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি মহম্মদ নাসিদ-সহ একাধিক রাজবন্দিকে মুক্তি দিতে এবং বরখাস্ত হওয়া বিরোধী মন্ত্রীদের পুনরায় বহাল করতে ইয়ামিন সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল সে দেশের সুপ্রিম কোর্ট। নির্দেশ মানা তো দূরের কথা, উল্টে প্রধান বিচারপতিকে গ্রেফতার করে বসে ইয়ামিন সরকার। জারি করা হয় জরুরি অবস্থা।


এই পরিস্থিতিতে ভারতের অবস্থান নিয়ে ছিল একাধিক প্রশ্ন। জরুরি অবস্থা জারি হওয়ার পর ভারতকে সেনা পাঠানোর জন্য আর্জি জানিয়েছিল সেদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি নাসিদ। এদিকে, ভারতের সেনা পাঠানো নিয়ে আগাম হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছিল চিন। কূটনীতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, মালদ্বীপে ভারত সেনা পাঠালে, কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে চিন আরও সক্রিয় ভূমিকা নিতে পারে। তাই ভারত জল মেপে এগোতে চাইছে সেখানে।


আরও পড়ুন- মালদ্বীপ নিয়ে ফোনাফুনি ট্রাম্প-মোদীর


এদিকে, মালদ্বীপে জরুরি অবস্থা জারি হওয়ার পর থেকেই বিরোধী দলের সমর্থকরা রাস্তায় নেমে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। জায়গায় জায়গায় বেধে যায় সংঘর্ষ। তাঁদের দাবি জেলবন্দি বিরোধী সেতা-সমর্থকদের জেল থেকে মুক্তি দিতে হবে। ছেড়ে দিতে হবে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট নাসিদকেও।


অবশেষে ৪৫ দিন জরুরি অবস্থা জারি থাকার পর বৃহস্পতিবার তা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ইয়ামিন সরকার।