Rome: হঠাৎই মাটি থেকে বেরল সম্রাট নিরোর থিয়েটারের ধ্বংসাবশেষ, মঞ্চে ঝোলানোর পর্দা...
Roman Emperor Nero: প্রথম শতকের রোমান সম্রাট নিরোর ব্যক্তিগত একটি থিয়েটারের ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কৃত হয়েছে। ইতালির রাজধানী রোমে মাটির নীচে এটির সন্ধান পেয়েছেন প্রত্নতত্ত্ববিদেরা। ভ্যাটিকান থেকে কয়েক মিটার দূরে এটি খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। এই ঘটনাকে `ব্যতিক্রমী আবিষ্কার` বলে উল্লেখ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ছোট থেকে সবাই শুনে আসছে, রোমনগরী যখন পুড়ছিল তখন নাকি সংগীতচর্চায় মজে ছিলেন সম্রাট নিরো! তিনি নাকি তখন বেহালা বাজাচ্ছিলেন। এর সত্যি-মিথ্যে কে নির্ণয় করবে, কিন্তু একথা ইতিহাসসিদ্ধ যে, রোমান সম্রাট কলাবিদ্যার চর্চা করতেন। সংগীত-নাটক-সংস্কৃতিতে মজে থাকতেন তিনি। এহেন সম্রাটের নাট্যশালার ধ্বংসাবশেষ মিলল।
আরও পড়ুন: Afghanistan: আর বাজবে না কোনও বাদ্যযন্ত্র! কেন গিটার, তবলা, হারমোনিয়াম সব পুড়িয়ে দিল সরকার?
এমনিতেই ইতালির রাজধানী রোম পৃথিবীর ইতিহাসে এক প্রদর্শশালার মতোই। নানা ভাবে বিশ্ব সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ করেছে রোমান সভ্যতা। সম্প্রতি রোমেরই এই বিখ্যাত সম্রাট নিরোর ব্যক্তিগত এক থিয়েটারের ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কৃত হয়েছে। ২০২০ সালে এখানে এই খননকাজ শুরু হয়েছিল। খননকাজের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন প্রত্নতত্ত্ববিদ মার্জিয়া ডি মেন্তো।
প্রথম শতকের রোমান সম্রাট নিরোর ব্যক্তিগত এক থিয়েটারের ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কৃত হয়েছে। ইতালির রাজধানী রোমে মাটির নীচে এটির সন্ধান পেয়েছেন প্রত্নতত্ত্ববিদেরা। ভ্যাটিকান সিটি থেকে কয়েক মিটার দূরে এটি পাওয়া গিয়েছে। এখন যেখানে সেন্ট পিটারের ব্যাসিলিকা তার অদূরে এই থিয়েটারটি অবস্থিত।
থিয়েটারটি যেখানে আবিষ্কৃত হয়েছে, সেখানে মার্বেল পাথরে তৈরি স্তম্ভ, মূল্যবান ধাতুনির্মিত কারুকাজ, সাজসজ্জা মিলেছে। মিলেছে একাধিক সংগ্রহশালা। এসব সংগ্রহশালায় রয়েছে পোশাক ও মঞ্চের জন্য ব্যবহার করার পর্দা। নিরোর নাটক মঞ্চায়নে এসব সামগ্রী ব্যবহৃত হত বলে মনে করা হচ্ছে। এখানে সম্রাট নিরো কবিতা ও সংগীতচর্চাও করতেন। প্রাচীন এই থিয়েটারের অস্তিত্বের কথা আগেও বলেছেন একাধিক ইতিহাসবিদ। রোমান ইতিহাসবিদ প্লিনির লেখায় এই থিয়েটারের উল্লেখও ছিল।
আরও পড়ুন: Russia on Ukrainian: 'এবার ব্যবহার করতেই হবে পরমাণুবোমা' হুমকি পুতিনের! আর একটি হিরোশিমা?
মাত্র ১৬ বছর বয়সে ৫৪ খ্রিস্টাব্দে ক্ষমতায় বসেন সম্রাট নিরো। তখন রোমান সাম্রাজ্য পশ্চিমে স্পেন থেকে উত্তরে ব্রিটেন আর পূর্বে সিরিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। বিদ্রোহ ও আক্রমণের শিকার হয়ে ৬৮ খ্রিস্টাব্দে সিংহাসনচ্যুত হন। পরে আত্মহত্যা করেন নিরো। নিরো একজন শিল্পী। মঞ্চে অভিনয় করতেন। খেলাধুলা ও রথ চালনার প্রতিযোগিতার আয়োজনও করতেন। আবার বেশ খানিকটা বেহিসেবি হিসেবেও পরিচিত নিরো। বিশাল আকারের এক প্রাসাদ নির্মাণ করতে গিয়ে খরচ করেছিলেন বিপুল অর্থ।