ওয়েব ডেস্ক: জোর ধাক্কা খেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রেসিডেন্টের বিতর্কিত নিষেধাজ্ঞায় সাময়িক স্থগিতাদেশ দিল আমেরিকার আদালত। এর ফলে ৭টি মুসলিম প্রধান দেশের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্টের নিষেধাজ্ঞা এখনই কার্যকরা করা যাচ্ছে না। স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে পাল্টা আদালতে যাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ওভাল অফিসে পা দেওয়ার আগেই দেশজুড়ে বিক্ষোভ। জনপ্রিয়তা প্রায় তলানিতে। তবে এই বিক্ষোভ-প্রতিবাদে যে তাঁর কিছুই যায় আসে না, তা সাফ বুঝিয়ে দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু এবার প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে মার্কিন আদালত।


কলমের একটা খোঁচা। তাতেই ৭টি মুসলিম প্রধান দেশের বাসিন্দাদের জন্য আমেরিকার দরজা বন্ধ হয়ে যায়। ট্রাম্পের বিতর্কিত নির্দেশের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হন ওয়াশিংটনের অ্যাটর্নি জেনারেল। সেই মামলায় প্রেসিডেন্টের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দিল সিয়াটেলের আদালত।


বাইট (এটা ঐতিহাসিক রায়। আইনের শাসনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ। সবচেয়ে চড়া গলা নয়, আদালতে শেষ কথা বলে সংবিধান। সেটাই বিচারক রবার্ট ফের স্পষ্ট করে দিলেন। বব  ফার্গুসন, অ্যাটর্নি জেনারেল, ওয়াশিংটন)


এই স্থগিতাদেশের ফলে, যে ৭টি মুসলিম প্রধান দেশের ওপর ট্রাম্প নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন, তা আপাতত কার্যকর করা যাবে না। তড়িঘড়ি পাল্টা আইনি লড়াইয়ের জন্য তৈরি হোয়াইট হাউস।


জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট অবিলম্বে এই অর্ডারের বিরুদ্ধে জরুরি স্থগিতাদেশের আর্জি জানাবে। কারণ প্রেসিডেন্টের এই নির্দেশ বৈধ এবং যথাযথ। তাঁর এই নির্দেশ জারি করার সাংবিধানিক অধিকার আছে।-----হোয়াইট হাউস


আদালতের স্থগিতাদেশে কিছুটা বেকায়দায় ট্রাম্প। তাঁর পাল্টা সাফাই, মার্কিনিদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার বিষয়ে তিনি দায়বদ্ধ।


ওয়াশিংটন থেকে নিউ ইর্য়ক। লস এঞ্জেলস থেকে সান ফ্রান্সিসকো। ট্রাম্প বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল আমেরিকা। বিক্ষোভের ঢেউ আছড়ে পড়েছে আমেরিকার বাইরেও। মধ্য এশিয়া, আফ্রিকা তো আছেই। ইউরোপ, এশিয়া, অস্ট্রেলিয়াতেও ট্রাম্প বিরোধিতার উত্তাপ ছড়িয়েছে। অনড় ট্রাম্প। প্রতিবাদ-পাল্টা যুক্তির লড়াইয়ে গোটাই বিশ্বই এখন ব্যাটেলগ্রাউন্ড।