জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্য়ুরো: টানা ২ মাস ছিল নিষেধাজ্ঞা। ইলিশ ধরা যাবে না। সেই নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা পার হওয়ার পর মহানন্দে নদীতে নেমেছিলেন বাংলাদেশের ভোলা, চাঁদপুরের মত্স্যজীবীরা। কিন্তু কোথায় কাঙ্খিত ইলিশ? ভেবেছিলেন জালভর্তি ইলিশ উঠলে সব ধারদেনা শোধ হয়ে যাবে। কিন্তু জল থেকে জাল তোলার পরই তাদের চোখ কাপালে। কোথায় রুপোলি ফসল? জাল প্রায় খালি। দিনভর পরিশ্রম করে গুটিকয় ইলিশ নিয়ে ডাঙ্গায় ফিরছেন তাঁরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের আর্জি বিজেপি নেতার, মামলা নিল না হাইকোর্ট


ভোলা মত্স দফতর সূত্রে সংবাদমাধ্যমে খবর, গত ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ইলিশ-সহ সব ধরনের মাছ ধরার উপরে নিষেধাজ্ঞা ছিল। ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর ১৯০ কিলোমিটার এলাকায় ওই নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। সেই সময়সীমা শেষ হওয়া পর ১ মে মধ্যরাতেই নদীতে নামেন মত্স্যজীবীরা। কিন্তু তাদের অনেকেরই বক্তব্য ট্রলারের যে খরচ তা শোধ হওয়া পর যে টাকা তাদের হাতে এসেছে তা বলার নয়। মাথাপিছু তাদের পকেটে এসেছে ২০০-৩০০ টাকা। পেশা যেখানে মাছধরা সেখানে গত ২ মাস নদীতে নামতে না পারায় জমানো টাকা অনেকেরই শেষ হয়ে এসেছিল। অনেকেই ভেবেছিলেন, মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর যে ইলিশ ধরে যে টাকা পাবেন তাতে ধারদেন শোধ হয়ে যাবে। কিন্তু সেই ভাবনা বড় ধাক্কা লেগেছে নিষেধাজ্ঞা ওঠার প্রথম দিনই।


বহু মত্স্যজীবীর বক্তব্য, সামান্য কিছু ইলিশ পাওয়া গেলেও তার ওজন একেবারেই কম। অন্য যেসব মাছ উঠেছে তার দাম তেমন নেই। ফলে বড়লাভের মুখ দেখা যায়নি। অনেকেই বিভিন্ন মাছের আড়ত থেকে আগাম টাকা নিয়ে বসে রয়েছেন। তারা এখন সেই টাকা শোধ করবেন তা নিয়ে তারা এখন চিন্তিত। এদিকে আড়তে মাছ পাঠানোর চাপ বাড়ছে।


গত বছরের তুলনায় এবছর চাঁদপুরের ছবিটা একেবারেই ভিন্ন। সারদিন নদী তোলপাড় করে জেলেরা ফিরছেন পাঙাশ, পোয়া-সহ অন্যান্য মাছ নিয়ে। কিন্তু ইলিশ কোথায়! জেলেরা বলছেন ইলিশের দেখা নেই। চাঁপুর ঘাটে আজ দেড় থেকে দুশো কেজি ইলিশ উঠেছে। অন্য বছরে ২-৩ হাজার ৪-৫ হাজার কেজি ইলিশ ওঠে। চাঁদপুর মাছ ঘাটে আজ তেমন হাঁকডাক নেই। ফলে এরপরে যদি পরিস্থিতির বদল না হয় তাহলে বিপাকে পড়বেন মত্স্যজীবীরা।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)