জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ইরানে হিজাব-কাণ্ডের বিক্ষোভকারীদের উপর চলল গুলি! মৃত্যু হল ৫ প্রতিবাদীর। মাহসা আমিনির মৃত্যুর পরেই সোশ্যাল মিডিয়া উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। তীব্র প্রতিবাদে সরব হয়েছিল নেটপাড়া। বিক্ষোভের আঁচে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল গোটা ইরান। বিক্ষোভাকারীরা ক্রমশ ঝাঁজ বাড়াচ্ছিলেন। বিক্ষোভাকারীদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য পুলিস কাঁদানে গ্যাসের সেল ছুড়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছিল বিক্ষোভকারীরা তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে মহিলাদের স্বাধীনতা ও জীবনযাপন নিয়ে স্লোগান তুলছেন। প্রতিবাদের অঙ্গ হিসেবে অনেকেই তাঁদের হিজাব খুলে ফেলেছিলেন। এমনকি, অনেক ইরানি মহিলা তাঁদের চুলও কেটে ফেলেছেন, আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন হিজাবে। এই সব ঘটনার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে মাহসার মৃত্যুর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন তাঁরা। কুর্দিস্তান অঞ্চলের সাকেজ শহরে বিক্ষোভকারীদের উপর গুলি চালায় নিরাপত্তাবাহিনী। গুলিতে মারা যান ২ জন। দিভানদারেহ শহরে নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে আরও ২ জনের প্রাণ যায়। আরেকজন মারা যান কুর্দিশ অঞ্চলের দেহগোলানে। যদিও সে দেশের সরকার এখনও সরকারি ভাবে এই মৃত্যুসংবাদ দেয়নি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Myanmar Firing in School: ছয় শিশুর মৃত্যু! হঠাৎ স্কুলে কেন গুলি চালাতে গেল সেনা?


হেনগ্য মানবাধিকার সংস্থা এক টুইটারে জানিয়েছে, কুর্দিস্তান অঞ্চলের সাকেজ শহরে বিক্ষোভকারীদের উপর গুলি চালায় ইরানের নিরাপত্তাবাহিনী। তাদের গুলিতে মারা গিয়েছেন ২ জন। দিভানদারেহ শহরে নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতেও মারা যান আরও ২ জন। আরেকজন মারা গিয়েছেন কুর্দিশ অঞ্চলের দেহগোলানে। তবে এই মৃত্যুর বিষয়ে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি।


ইরানের এই প্রতিবাদ-বিক্ষোভের সূত্রপাত মাহসা আমিনির মৃত্যু ঘিরে। পশ্চিম ইরানের সাকেজ শহরের বাসিন্দা ২২ বছরের এই তরুণী। পরিবারের সঙ্গে তিনি তেহরানে আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। সেই যাত্রাপথেই নীতিপুলিসের হাতে পড়েন তিনি। ইরানে মহিলাদের নিয়ে কঠোর পোশাকবিধি রয়েছে। যার মধ্যে যথাযথ ভাবে হিজাব পরা অন্যতম। এর উপর কয়েক সপ্তাহ আগে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসি এ নিয়ে কঠোর নির্দেশও দিয়েছিলেন। পোশাকবিধি না মানলে কঠোর শাস্তির নিদানও দিয়েছিলেন তিনি। আর তারই জেরে শেষমেশ ঘটল এই বিপদ। দেশের পোশাকবিধি মেনে হিজাব পরেননি মাহসা আমিনি। এই 'অপরাধে' নীতিপুলিস তাঁকে ধরে নিয়ে যায়। পুলিসি হেফাজতেই মৃত্যু হয় তাঁর। প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করেছিলেন, পুলিসি হেফাজতে তাঁর উপর অত্যাচার করা হয়েছে। আর এর জেরেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি তাঁদের। তবে সেই দাবি অস্বীকার করে পুলিসের তরফে জানানো হয়েছিল, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন আমিনি।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)