পূজা দাস: একেই অতিমারির ঘা, তার উপর আবার গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো দিনের পর দিন বেড়ে চলেছে জ্বালানি তেলের (Fuel price) দাম। নিত্যপণ্যের ( Essential Commodities) দাম নিয়ে ভোগান্তির শেষ নেই মানুষের। এবং এই চিত্রই বর্তমানে মাথায় হাত ফেলেছে আর্থিক বিশেষজ্ঞদের। এছাড়াও রাশিয়া ইউক্রেন  যুদ্ধের ( Russia-Ukraine War) প্রভাবও বিপুল পরিমাণে পড়বে বিশ্ব অর্থনীতির উপর এমনই আশঙ্কা করছে বিশ্বব্যাংক ( World Bank)। বিশ্বে নতুন করে গরিবির লাইনে দাঁড়াতে বাধ্য হবেন সাত কোটির বেশি মানুষ। বহু উন্নত দেশও পড়বে নানা ধরনের সংকটে। এই কারণে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির মতো বিশ্ব জোড়া সংকট মোকাবিলায় এক সঙ্গে মিলে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: ফিরছে তিয়েনআনমেনের স্মৃতি, জিনপিঙের চিনে গণতন্ত্রের দাবিতে উড়ল নিশান!


গত জুন মাস থেকেই জাতিসংঘ বলছে, চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকেই বিশ্বে বাড়তে থাকবে খাদ্যসংকট। ২০২৩ সালে এ সংকট ছড়িয়ে পড়বে দেশে দেশে। এবার সেই সংকটের ভবিষৎবানীতে শিলমোহর লাগানোর পথে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল। বিশ্বব্যাপী এই মন্দার কবলে পড়লে সব মিলিয়ে প্রায় ৩৫ কোটি মানুষ খাদ্যসংকটে পড়বে বলে আশঙ্কা বিশ্বব্যাংকের। গত ১০ অক্টোবর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে শুরু হয়েছে বিশ্বব্যাংক গ্রুপ ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের বার্ষিক সাধারণ সভা। যেখানে বৃহৎভাবে তুলে ধরা হয়েছে বিশ্বের খাদ্যসংকটের চিত্র। বিশ্বে ৪৮টি দেশের প্রায় চার কোটি মানুষ এখন চরম খাদ্যসংকটে ভুগছে। আইএমএফের কথায়, এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি খারাপ অবস্থা কোস্টারিকা,বসনিয়া এবং রুয়ান্ডারের । এরই মাঝে এই সংকটের কারণে ধুকছে ছোট-বড় সমস্ত দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা। 


আরও পড়ুন: কোনও নিয়ম মানছেন না, নিজের অর্থমন্ত্রীর চাকরি খেলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী!


সাতদিনের এ বার্ষিক সভায় বিশ্ব মন্দা এবং খাদ্যসংকটই ছিল আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দু। বিশ্বের ১৯৩টি দেশের অর্থমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নররা অংশ নিচ্ছেন এতে। এছাড়াও সভায় যোগ দিয়েছেন বিভিন্ন দেশের নীতিনির্ধারক, সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধি ও বিশেষজ্ঞরা। বিশ্ব ব্যাংক ও আইএমএফ বলছে, বিশ্ব চরম খাদ্যসংকটের দিকে যাচ্ছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বাড়তে থাকা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা না গেলে এ সংকট কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা বলা মুশকিল। তবে এর থেকে উত্তরণের পথ রয়েছে। দুই সংস্থাই জানিয়েছে, বিশ্বের প্রতিটি দেশকে রাজনৈতিকভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, কীভাবে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানো যায় ও মূল্যস্ফীতি কমানো যায়, তার দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। সেক্ষেত্রে আইএমএফ ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বলেন, সেক্ষেত্রে প্রয়োজনে অতিরিক্ত ঋণ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ।  


আরও পড়ুন: Burqa Ban: বোরখা-হিজাব পরলেই প্রায় ৮৩ হাজার টাকা জরিমানা, আইন আনছে এই দেশ


আইএমএফ ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বলেন, করোনার শুরু থেকে এ পর্যন্ত ৯৩টি দেশকে  প্রায় ২১ লক্ষ ৪৩ হাজার কোটির অধিক ঋণ দিয়েছে আইএমএফ। জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত আরেকটি তহবিল থেকে বাংলাদেশের মতো দেশগুলির জন্য জোগাড় হয়েছে প্রায় ৩২ লক্ষ ৯৬ হাজার কোটি টাকা। তিনি বলেন, ঋণ দেওয়ার মতো আরও প্রায় ৫৭ লক্ষ ৭০ হাজার কোটির বেশি টাকা রয়েছে আইএমএফের হাতে। কোনও দেশের সংকট সময়ে ঋণের প্রয়োজন হলে আইএমএফকে জানালে আমরা সেভাবে ব্যবস্থা নেবো।


আরও পড়ুন: Joe Biden on Pakistan: ভয়ংকর বিপজ্জনক দেশ পাকিস্তান! বাইডেনের মন্তব্যে তোলপাড় বিশ্বরাজনীতি...


আইএমএফ প্রধান ডেভিড ম্যালপাস বলেন, জ্বালানি সংকট ভবিষ্যতে অর্থনীতির অবস্থা ঠিক করবে। সংকট সামলাতে তাই মুদ্রা নীতি ও রাজস্ব নীতির বিষয় সতর্ক হতে বলা হয়েছে। বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট বলেন, এবারের মন্দা উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য ভয়াবহ হবে। এজন্য সংকট এড়াতে মূল্যস্ফীতিতে লাগাম টানতে হবে। বিশেষ করে গরিব মানুষকে নিয়ে শঙ্কার কথা বলা হচ্ছে বিশ্বব্যাংকের তরফ থেকে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)