জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ফের নতুন করে তৈরি হল মামি-রহস্য। এবার কেন্দ্রে প্রাচীন মিশরের এক রহস্যময়ী। সারা বিশ্বেই বরাবরই প্রাচীন মিশর নিয়ে অদম্য কৌতূহল। বিশেষ করে যাঁরা প্রত্নতত্ত্ববিদ তাঁদের কাছে এই মিশরের আকর্ষণ তীব্র। একটাই কারণে-- মামি। মামি নিয়ে চর্চা এত দূর বিজ্ঞানসম্মত হয়েছে যে, এখন কোনও মামির মুখ কেমন হতে পারে, বলে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে তা-ও। সম্প্রতি এমনই এক ঘটনা ঘটেছে। যাতে ফরেন্সিক এক্সপার্টরা একটি মামির শরীরে জীবন্ত নারীর মতো লাবণ্যময় মুখ তৈরি করে দিতে পেরেছেন। তার ক্ষেত্রে একটু বিরল ঘটনাও ঘটেছে। প্রাচীন মিশরের এই রহস্যময়ী মৃত্যুর সময়ে অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। তাঁর শরীর থেকে সমস্ত অঙ্গপ্রত্যঙ্গ যথাসময়ে বের করে নেওয়া হলেও ভ্রূণটি রয়ে গিয়েছিল যথাস্থানেই। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Fire Ants Raining Down: আকাশ থেকে ঝরে পড়ছে কোটি কোটি পিঁপড়ে! কোন মেঘে এই পিঁপড়ে-বৃষ্টি?


বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে জানা গিয়েছে, মিশরের প্রাচীন ওই রহস্যময়ী ছিলেন ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। প্রত্নবিজ্ঞানীদের দল এই নারীর ভ্রূণ নিয়ে নানা গভীর পরীক্ষা করেছেন। কিন্তু সব চেয়ে বেশি যে প্রশ্নটি তাঁদের ভাবিয়েছে, সেটা হল, কেন ওই রহস্যময়ীর শরীর থেকে সমস্ত অঙ্গপ্রত্যঙ্গ যথাসময়ে বের করে নেওয়া হলেও ভ্রূণটি রয়ে গেল যথাস্থানেই? একটাই সম্ভাব্য উত্তর পেয়েছেন তাঁরা। যখন এই মৃতা তরুণীর দেহকে মামিতে রূপান্তরিত করা হচ্ছিল তখন যাঁরা কাজটি করেছিলেন, তাঁরা ভেবেছিলেন, ভ্রূণটি যতক্ষণ গর্ভে থাকবে ততক্ষণই শিশুটি তার মায়ের কাছ থাকবে। আসলে মামির ধারণাটাই তো সেটা। মামিকে এক অর্থে জীবন্তই মনে করা হয়। ফলে মৃতা মায়ের সঙ্গেই মৃত সন্তানকে রেখে দেওয়ার এই ভাবনা খুব অসম্ভব একটা চিন্তা নয়।


ইদানীং মামিকে 'রি-হিউমানাইজ' করার একটা নতুন প্রবণতাও প্রত্নতত্ত্ববিদদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে। অন্য কিছু নয়। শুধু এটুকুই যে, জীবিত কালে কেমন দেখতে ছিলেন তাঁরা? এ জন্য টু-ডি বা থ্রি-ডি প্রযুক্তিকৌশল প্রয়োগ করে ফেসিয়াল রিকনস্ট্রাকশন করা হচ্ছে। যা এই রহস্যময়ীর ক্ষেত্রেও করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে প্রাচীন মিশরের ওই রহস্যময়ী মারা গিয়েছিলেন কুড়ির ঘরে, মানে, তখন তাঁর বয়স ছিল ২০-২৯-এর মধ্যে। কেন এত কম বয়সে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় মারা গেলেন ওই তরুণী? গবেষণা থেকে বেরিয়ে এসেছে এই চমকপ্রদ তথ্য-- ওই তরুণী হয়তো ক্যানসার থেকে ভুগছিলেন।     


এই প্রজেক্টে যুক্ত আছেন ছানতাল মিলানি নামের এক ইটালিয়ান ফরেন্সিক অ্যানথ্রোপলজিস্ট। তিনি বলছেন, আমাদের হাড় ও করোটি থেকে কেমন ছিল আমাদের মুখ তার অনেকটা আন্দাজ পাওয়া যায়। কেননা করোটি খুব স্পেসিফিক। ফলে, এর থেকে মুখের প্রকৃত আকার সম্বন্ধে একটা ধারণা করা সম্ভব। সেই হাড়ের চিহ্ন ধরেই মিশরের এই প্রাচীন রহস্যময়ীর মুখও নতুন করে তৈরি করা হয়েছে। এখন আপনিও অনায়াসে এই মহিলার মুখের দিকে তাকাতে পারবেন?


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)