TMC BNP: বাংলাদেশে হইহই করে সংগঠন বাড়াচ্ছে তৃণমূল, মঙ্গলবার বড় চমক
TMC BNP: সংবাদমাধ্যমে তৈমুর বলেন, দলে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাদের গুরুত্ব থাকা উচিত। কেউ ভুল করলে তা সংশোধনের সুযোগ দেওয়াও উচিত। দল কখনও ব্যক্তিকেন্দ্রীক হওয়া উচিত নয়
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সংগঠন বাড়াছে তৃণমূল বিএনপি। এবার ওই দলে যোগ দিতে চলেছেন শামস মবিন চৌধুরী ও অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দেকর। একসময়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন শামস মবিন চৌধুরী। অন্যদিকে, তৈমুর আলম খন্দেকরও একসময় বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিলেন। কেন দল ছাড়ছেন তৈমুর আলম খন্দেকর? বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, বিএনপি আমাকে বহিষ্কার করেছে দেড় বছর হয়ে গেল। তার এই এতগুলো দিনে দলের কেউ খোঁজখবর করেনি। এখন আমার কোনও রাজনৈতিক পরিচয় নেই। নিজের পরিচয় দেওয়ার জন্যও একটা মঞ্চ থাকা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন-ভয়ংকর! আধসেদ্ধ তেলাপিয়া খেয়ে খসে পড়ল গৃহবধূর হাত-পা
তৈমুর আলম খন্দেকার আরও বলেন, একজন বহিষ্কৃত মানুষ কতদিন একটা দলের পতাকা টেনে নিয়ে যেতে পারে? এখন যদি আমি মারা যাই তাহলে আমার পরিচয় কী হবে? বিএনপি বহিষ্কার করেছে। এখন তৃণমূল বিএমপিকে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে হবে। তাই সেখানেই যাচ্ছি। আমাদের রাজনীতি হবে খেটে খাওয়া মানুষ, ধর্মীয় মূল্যবোধ, জাতীয়তাবাদী ধারার পক্ষে।
অন্যদিকে, শামস মবিন চৌধুরীর তৃণমূল বিএমপিতে যোগদানের জল্পনা নিয়ে তৈমুর আলম খন্দেকার বলেন, উনিও আমাদের সঙ্গে থাকবেন। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর তৃণমূল বিএনপির সম্মেলন রয়েছে। এখন দলে যোগ দেওয়ার জন্য বিএমপির অনেক নেতাই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।
বিএনপি ত্যাগ নিয়ে আক্ষেপের থেকে ক্ষোভ বেশি তৈমুরের। সংবাদ মাধ্যমে এনিয়ে তিনি বলেন, দলে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাদের গুরুত্ব থাকা উচিত। কেউ ভুল করলে তা সংশোধনের সুযোগ দেওয়াও উচিত। দল কখনও ব্যক্তিকেন্দ্রীক হওয়া উচিত নয়। দল হবে আমজনতার। বিএনপির জন্য শুভকামনা করি। ওরা ভালো থাকুক।
উল্লেখ্য, আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর হচ্ছে তৃণমূল বিএনপির প্রথম কাউন্সিল। রাজনৈতিক মহলে জল্পনা দলের শীর্ষ দুই পদে আসছেন বিএনপির প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান শামস মুবিন চৌধুরী ও দলের চেয়ারম্য়ানের উপদেষ্টা তৈমুর। এই দুজন চাড়াও বিএনপি ছেড়ে বেরিয়ে আসা আরও নেতারাও যোগ দিতে চেলেছেন তৃণমূল বিএনপিতে। এদের মধ্যে রয়েছে বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা আবদুস সাত্তার।
প্রসঙ্গত, গত ৯ ফেব্রুয়ারি রাজনৈতিক দলের তকমা পেয়েছে তৃণমূল বিএনপি। নেতৃত্বে ছিলেন ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। কিন্তু এর পরই দুঃসংবাদ। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি মৃত্যু হয় তাঁর। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে ভুগছিলেন।