নিজস্ব প্রতিবেদন: টানা দশ দিন ভেন্টিলেশনে থাকার পর রবিবার সকাল পৌনে আটটা নাগাদ জীবনাবসান হল বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের(৯০)। ফুসফুসে সংক্রমণ, বিকল কিডনি ও রক্তে হিমগ্লোবিনের সল্পতা নিয়ে সিএমএইচ হাসপাতালে ভর্তি হন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


শনিবারই জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এম কাদের জানিয়ে দেন, এরশাদের কোনও অঙ্গ আর কাজ করছে না। রোজ ডাকলে চোখ মেলে তাকাতেন। এখন আর তাও করছেন না।


আরও পড়ুন-জমি বিবাদের জের, রাজস্থানে পুলিস কনস্টেবলকে পিটিয়ে মারল উন্মত্ত জনতা


বাংলাদেশের সেনা প্রধান থেকে দেশের শাসনক্ষমতা দখল করেন এরশাদ। দেশের রাষ্ট্রপতি ছিলেন ১৯৮৩ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত। ১৯৮২ সালের ২৪ এপ্রিল দেশের তত্কালীন রাষ্ট্রপতি আব্দুস সাত্তারকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশে সেনা শাসন জারি করেন। শেষপর্যন্ত অবশ্য গণ আন্দোলনের চাপে তাঁকেও সরে যেতে হয় ক্ষমতা থেকে। অবৈধভাবে ক্ষমতাদখল তো বটেই, আর্থিক কেলেঙ্কারি, মহিলাঘটিত বিতর্কেও ছিল তাঁকে ঘিরে।


বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁর শারীরিক অবস্থা ভালো যাচ্ছিল না। সেকথা মাথায় রেখেই তিনি জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পদে বসিয়ে যান ভাই জি এম কাদেরকে। এনিয়ে দলের মধ্যেই ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল বলে রাজনৈতিক মহলের খবর।


আরও পড়ুন-মেট্রোর দুর্ঘটনায় মৃত সজলের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর, শাস্তির দাবি আত্মীয়দের


এরশাদের জন্ম ভারতের কোচবিহারে। স্নাতক হয়ে তিনে যোগ দেন পাক বাহিনীতে। মু্ক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ছিলেন পাকিস্তানে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৩ সালে তাঁকে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীতে নেওয়া হয়। প্রাক্তন সেনাপ্রধান জিয়াউল রহমানের উদ্যোগে তাঁকে সেনা উপ প্রধানের দায়িত্বে আনা হয়। জিয়াউল রহমান রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর এরশাদকে আনা হয় সেনাপ্রধান পদে। ১৯৮১ সালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে খুন হন জিয়াউল হক। এর পেছনে এরশাদের হাত ছিল অভিযোগ করেছিলেন খালেদা জিয়া।