নিজস্ব প্রতিবেদন: ভুল করা যাবে। ভুল করলে দোষ নেই। ভুলের অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়ে এ কথা জানাল ফ্রান্স সরকার। প্রশাসনিক কাজের ক্ষেত্রে দেশবাসী এবার একটি ভুল করতেই পারে, এ জন্য থাকবে না কোনও শাস্তির খাঁড়া। তবে 'ভুল হয়ে গেছে বিলকুল' বলে বারবার বাঁচা যাবে না, স্পষ্ট বার্তা ইম্যানুয়েল ম্যাখো সরকারের। কিন্তু ব্যাপারটা কী?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ফ্রান্সের গতানুগতিক রাজনৈতিক প্রবাহে ধাক্কা দিয়ে ২০১৭ সালের মে মাসে ফরাসী প্রেসিডেন্টের মসনদে বসেছিলেন পেশায় ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কার ম্যাখো। সে অর্থে রাজনীতির লোক ছিলেন না বর্তমান ফরাসী প্রেসিডেন্ট। আর তাই নির্বাচনের প্রচার পর্বেও ভিন্ন ধারার কথা বলেছিলেন তখনকার প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ইম্যানুয়েল ম্যাখো। তিনি চেয়েছিলেন, একটা 'বিশ্বাসভাজন সমাজ' গড়ে তুলতে। আর সেই লক্ষ্যেই ভুলের অধিকারে সিলমোহর দিল সে দেশের সরকার।  


আরও পড়ুন- হোয়াইট হাউস ওড়ানোর ভিডিও প্রকাশ আইএস জঙ্গিগোষ্ঠীর!


ধ্বনি ভোটে ভুলের অধিকার বিল পাশ হওয়ার পর সে দেশের মন্ত্রী জেরাল ডারমেনিন জানিয়েছেন, "প্রশাসন ও শাসিতের চিরাচরিত সম্পর্কে এই আইন এক বৈপ্লবিক পদক্ষেপ"। কিন্তু অসাধু ব্যক্তিরা যদি এমন আইনের সুযোগ নেয়, তখন কী হবে? ফরাসী সরকার জানাচ্ছে, প্রাথমিকভাবে দেশবাসীর 'শুভবুদ্ধির উপর' ভরসা করা হবে। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত ভুল 'ইচ্ছাকৃত' কিনা সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা ন্যস্ত থাকবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হাতেই। পাশাপাশি, এক ব্যক্তির একাধিক ভুলকে প্রশ্রয় দেবে না প্রশাসন।


ফ্রান্স সরকারের এমন বেনজির সিদ্ধান্ত ঘিরে আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়েছে। অনেকেই এই আইনকে 'খাল কেটে কুমির' নিয়ে আসার সঙ্গে তুলনা করছেন। কিন্তু, এই চরম অবিশ্বাস ও কথা না রাখার সময়ে, ফ্রান্স সরকারের সমাজকে এমন বিশ্বাস করতে চাওয়ার পদক্ষেপ সত্যিই অন্যভাবে ভাবতে ইন্ধন দেয়...বিশ্বাস করতে ইচ্ছা হয় আরও একবার...