জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্রয়াত হলেন ফ্রাঁসোয়া জিলো। তাঁর সব চেয়ে বড় পরিচয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, তিনি পাবলো পিকাসোর প্রেমিকা। কিন্তু ইতিহাস জানে, সেটাই তার সব সব চেয়ে বড় পরিচয় হওয়ার কথা নয়। কেননা, তাঁর নিজের পরিচয়ের বহর কিছু কম নয়। তিনি একজন চিত্রশিল্পী, সমালোচক ও লেখক। মারা গিয়েছেন ১০১ বছর বয়সে। গতকাল মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটান হাসপাতালে মৃত্যু হয় ফ্রাঁসোয়া জিলোর। তাঁর মেয়ে অরেলিয়া এঞ্জেল জানিয়েছেন, তাঁর মা দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্‌রোগ ও ফুসফুস সংক্রান্ত জটিলতায় ভুগছিলেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুুন:  Ukraine: ভয়াবহ! বিপুল জলরাশি হাঁ করে গিলে নিচ্ছে গোটা দেশ; প্লাবনের অন্য নাম কাখোভকা...


প্যারিসের একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম ফ্রাঁসোয়া জিলোর। তিনি পিকাসোর চেয়ে ৪০ বছরের ছোট ছিলেন। ১৯৪৩ সালে ফ্রান্সের এক রেস্তোরাঁয় পিকাসোর সঙ্গে তাঁর প্রথম দেখা। তখন ফ্রাঁসোয়ার বয়স ছিল ২১ বছর। এরপর তাঁদের মধ্যে দ্রুত অন্তরঙ্গ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পিকাসো-জিলোর সম্পর্ক টিকে ছিল বছর দশেকের বেশি।



পিকাসোর সঙ্গে বিচ্ছেদের ১১ বছর পরে ফ্রাঁসোয়া 'লাইফ উইথ পিকাসো' বইটি লেখেন। বইটি প্রকাশিত হয় ১৯৬৪ সালে। ১৯৭০ সালে তিনি জোনাস সল্ককে বিয়ে করেন। জোনাস পোলিও ভ্যাকসিন আবিষ্কারের পথিকৃৎ ছিলেন। ১৯৯৫ সালে জোনাসের মৃত্যু হয়। ফ্রাঁসোয়া কখনও প্যারিসে, কখনও নিউ ইয়র্কে থাকতেন।


আরও পড়ুুন: Middle East: দাবদাহ থেকে মৃত্যু ক্রমশ বাড়বে! তাপপ্রবাহ কি আগামিদিনে আরও নির্মম হবে?


কিন্তু নিজে স্বয়ং চিত্রশিল্পী হওয়া সত্ত্বেও কেন তাঁর বিচ্ছেদ ঘটল কিউবিজমের প্রাণপুরুষ পিকাসোর সঙ্গে? সেটা রহস্যেই ভরা। পিকাসো বিশেষজ্ঞেরা বলেন, পিকাসো তাঁর সৃষ্টির প্রণোদনার উদ্দেশ্যেই কিনা কে জানে, সারা জীবনই এক নারী থেকে অন্য নারীতে চলে গিয়েছেন। ফ্রাঁসোয়ার ঘটনাটাও হয়তো তেমনই।  


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)