ওয়েব ডেস্ক : বিশ্ব উষ্ণায়নের চাপেই নাকি পৃথিবী ধ্বংস হবে বলে মনে করছেন বৈজ্ঞানিকরা। কিন্তু জানেন কী আজ থেকে ৫০০ বছর আগেই ফরাসি জ্যোতির্বিদ মাইকেল দি নোতরদাম, ওরফে নস্ত্রাদামস, ইতিহাসে বিখ্যাত হয়ে রয়েছেন‌ তাঁর আশ্চর্য ভবিষ্যৎবাণীর জন্য। ‘দি প্রফেসিস’ নামে একটি বইতে তার লেখা রহস্যে ঘেরা ভবিষ্যৎ বার্তাগুলোর অনেকগুলিই ইতিমধ্যেই সত্যি বলে প্রমাণিত হয়েছে। ১৯৩০ সালের পর থেকে হিটলারের উত্থান, আমেরিকার কেনেডি-ভাইদের নিহত হওয়ার ঘটনা, নেপোলিয়নের পরাজয়, এমনকী ৯/১১-এ আমেরিকায় সন্ত্রাসবাদী হামলা, সবটাই তিনি রহস্যময় ভাষায় বলে গিয়েছিলেন সেই ৫০০ বছর আগে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


২০১৬ সালের আশপাশের সময়ে কী ঘটতে চলেছে, সে সম্পর্কেও একটি ভবিষ্যত্‍ বার্তা দিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। আসুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কী বলে গিয়েছিলেন এই জ্যোতির্বিদ-


১) তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ : নস্ত্রাদামসের গণনা অনুসারে, ২০১৬ সালেই পৃথিবীতে শুরু হবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ। বৃহৎ রাষ্ট্রশক্তিগুলির মধ্যেই দেখা দেবে এই যুদ্ধ। এই যুদ্ধ নাকি আগামী ২৭ বছর ধরে স্থায়ী হবে। আর এই যুদ্ধে প্রচুর প্রাণহানি ঘটবে।


২) আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাৎ : একটি আগ্নেয়গিরি থেকে দেখা দেবে ব্যাপক অগ্নুৎপাৎ। আর তার ঠিক পরেই প্রবল ভূমিকম্পে কেঁপে উঠবে পৃথিবী। সেই ভূমিকম্পে প্রাণ হারাবে কয়েক হাজার মানুষ।



৩) ইতিহাসের ভয়ঙ্করতম ভূমিকম্প : তাঁর ভবিষ্যত্‍বাণী অনুসারে ইতিহাসের ভয়ঙ্করতম ভূমিকম্পটিও নাকি হবে ২০১৬ সালেই। উৎপত্তিস্থল হবে আমেরিকার পশ্চিমাঞ্চল। তবে তাঁর ব্যাপকতা গোটা পৃথিবীকেই কাঁপিয়ে দেবে। আর তাতেই নাকি ধ্বংস হতে পারে মানবকূল।


৪) বিশ্ব-অর্থনীতির বিপর্যয় : ষোড়শ শতকে বসেই নস্ত্রাদামস বলে গিয়েছিলেন, বিশ্ব-অর্থনীতি ২০১৬ সাল নাগাদই ভেঙে পড়বে। রহস্যময় ভাষায় তিনি তাঁর বইতে এই ইঙ্গিত দিয়ে গিয়েছিলে। সেখানে বলা হয়, ধনীরা তাঁদের জীবদ্দশায় বহুবার মৃত্যুর সম্মুখীন হবেন।


আরও পড়ুন-জাতীয় দিবসে ফের রক্তাক্ত ফ্রান্স, এবার সন্ত্রাসের নিশানায় নিস


৫) প্রকৃতির বিপর্যয় : নস্ত্রাদামস লিখে গিয়েছিলেন, ২০১৬ সালেই অরণ্যকে ধ্বংস করবে মানুষ। আকাশ ফেটে নামবে বৃষ্টি। প্রবল গরমে দগ্ধ হবে মাটি। সহজ কথায়, বসবাসের প্রয়োজনে প্রাকৃতিক অরণ্যকে ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত নেবেন রাষ্ট্রের মাথারা। আর তা থেকেই বায়ুমণ্ডলের ওজন স্তরে ছিদ্র দেখা দেবে। ফলে সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি পৃথিবীতে প্রবেশ করে ক্ষয়ক্ষতি ঘটাবে জীবকুলের।


এছাড়াও তিনি আরও বেশকিছু কথা লিখেগিয়েছিলেন নিজের লেখায়। সেই লেখা অনুসারে একের পর এক ঘটনা ঘটে চলেছে এই বিশ্বে।