ওয়েব ডেস্ক: নিন্দুকেরা বলেন, রাজনীতিকদের নাকি রসবোধ কম। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাসোয়াঁ ওলাঁদ নিশ্চিতভাবেই তার ব্যতিক্রম। নিয়মিত তিনি চুলের যত্ন নেন। শুধু তাঁর চুল কাটানোর জন্যই সরকারি কোষাগার থেকে প্রতি মাসে বেরিয়ে যায় এগারো হাজার ডলারেরও বেশি। আর এই নিয়ে এখন তোলপাড় ফ্রান্স।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

খুব কম পুরুষই আছেন যিনি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে গানের কলি গুনগুনিয়ে  চুলের টেড়ি বানাননি। সে তো কৈশোর থেকে তারুণ্যে পা দেওয়ার সময়ের কথা। কিন্তু মধ্য যৌবনেও চুলের প্রতি অনুরাগ খুব কম পুরুষেরেই টিকে থেকেছে। তবে চুলের প্রতি পুরুষের ভালবাসার যদি ইতিহাস লেখা হয়, তাহলে ব্রাজিলের কাকা বা হলান্ডের রুদ গুলিতের মতো নাম লেখা থাকবে আজকের ফরাসি প্রেসিডেন্টেরও। নেপোলিয়নের দেশের পুরুষ, ফ্রাসোঁয়া ওলাঁদে চুলের পিছনে মাসে খরচ করেন প্রায় দশ হাজার ইউরো। হিসেব মতো এগারো হাজার ডলারের কিছু বেশি। তাও আবার সরকারি কোষাগার থেকে।


আরও পড়ুন-আপনার হাতের আঙুল আর তালু বলে দেবে আপনি কেমন মানুষ!


সোস্যাল মিডিয়ায় এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ধুন্দুমার। চাপে পড়ে সরকারি মুখপাত্রও শিকার করে নিয়েছেন খবরের সত্যতা। তবে তাঁর যুক্তি, প্রেসিডেন্টের চুল কাটার খরচ প্রায় দশ হাজার ইউরো হলেও, সারকোজির আমলের চেয়ে ওলাঁদের আমলে প্রেসিডেন্ট হাউজের খরচ কমেছে পনের থেকে কুড়ি শতাংশ। তাছাড়া প্রেসিডেন্টের হেয়ারড্রেসার তো আর যে সে মানুষ নন, ওলাঁদের চুল ঠিক করার জন্য তাঁকে দোকান বন্ধ করে পড়ে থাকতে হয় দিনরাত। তবে সরকারি এই বিবৃতির পরও সোস্যাল মিডিয়ায় ঝড় কিছুতেই কমছে না। আর্থিক সংকটের এই বাজারে প্রেসিডেন্টের কেশচর্চার বিপুল খরচ নিয়ে রঙ্গব্যঙ্গ অব্যাহত।


আরও পড়ুন-ভারতে কারা বেশী পর্ণ দেখে ছেলেরা না মেয়েরা?