ওয়েব ডেস্ক: মার্কিন যু্ক্তরাষ্ট্রের 'ভিক্ষার দান' বন্ধ হতেই সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে শুরু করল পাকিস্তান। শনিবার ইসলামাবাদ জানাল, নিষিদ্ধ সংগঠনগুলিকে অর্থ সাহায্য করলে ১০ বছরের জেল ও মোটা টাকার জরিমানা হতে পারে। এমনকি সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করা হবে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নিষিদ্ধ সংগঠনগুলির মধ্যে রয়েছে মুম্বই হামলার মূলচক্রী হাফিজ সৈয়দের সংগঠন জামাত-উদ্-দাওয়া। হাফিজের সংগঠনকে ইতিমধ্যেই কালো তালিকাভূক্ত করা হয়েছে। ভারত দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছিল, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার আড়ালে পাক জঙ্গি নেতারা সন্ত্রাসবাদী কাজকর্ম চালায়। মার্কিন চাপের মুখে এবার পাকিস্তান এমন পদক্ষেপ করায় সেই অভিযোগই মান্যতা পেল বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল।


আরও পড়ুন- গোপনে তৃতীয় বার বিয়ে করলেন ইমরান খান?


গত ১ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টুইট করেছিলেন, ''গত ১৫ বছরে ৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাকিস্তানকে দিয়ে বোকামি করেছি। মিথ্যা ছাড়া ওরা আর কিছুই দেয়নি। আমাদের নেতাদের বোকা ভেবেছেন। সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দেয় তারা। আর নয়...''  


মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই টুইট বার্তার পর পাকিস্তানের উপরে চাপ বাড়িয়েছে ওয়াশিংটন। ট্রাম্প প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্তা বলেছেন, 'পাকিস্তানকে বেকায়দায় ফেলার জন্য অনেকগুলো পথ খোলা রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামনে। হক্কানি ও তালিবান জঙ্গিদের বিরুদ্ধে তারা যাতে ব্যবস্থা নেয়, সেই চেষ্টা করা হবে।'' পাকিস্তানকে নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই অবস্থান ভারতের কূটনৈতিক সাফল্য বলেই মত আন্তর্জাতিক মহলের একাংশের। রাষ্ট্রসঙ্ঘে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একের পর এক প্রমাণ তুলে ধরেছে ভারত। পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও সমানতালে বোঝাপড়া চালিয়ে গিয়েছে।