জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্রত্যাশামতোই জি২০ সম্মেলনে দেখা হল হাই ভোল্টেজ রাষ্ট্রনেতাদের। ইন্দোনেশিয়ার বালিতে আক্ষরিক অর্থেই চাঁদের হাট। সেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা হল মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের, ফরাসি প্রেসিডেন্ট  ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় সব থেকে চর্চিত রাষ্ট্রনেতা ঋষি সুনাক। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এমনিতেই ভারতীয় বংশোদ্ভূত বলে ঋষি সুনাককে নিয়ে বিস্তর হইচই হয়েছে প্রথম থেকেই। এখনও হচ্ছে। এই প্রেক্ষিতেই ঋষির সঙ্গে দেখা মোদীর। পিএমও অফিস থেকে এ বিষয়ে একটি টুইটও করা হয়েছে। সেই টুইটে লেখা হয়েছে-- 'প্রাইম মিনিস্টার @ নরেন্দ্র মোদী অ্যান্ড @ ঋষি সুনাক ইন কনভারসেশন ডিওরিং দ্য ফার্স্ট ডে অফ দ্য @ জি ২০ সামিট'। ঋষি সুনাকের সঙ্গে কথার পাশাপাশি ফরাসি প্রসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে তাঁর কথা হয়।   


আরও পড়ুন: PM Narendra Modi G20 Summit: জি ২০ বৈঠকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে কী বললেন নরেন্দ্র মোদী?


জি ২০ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নানা বিষয় নিয়ে কথা বললেন। বিশ্ব জলবায়ুর পরিস্থিতি নিয়ে তো কথা বলেনই প্রধানমন্ত্রী, পাশাপাশি তিনি কোভিড অতিমারী, শক্তির ব্যবহার এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও কথা বলেন। যেহেতু ভারতের অর্থনীতি এই মুহূর্তে বিশ্বে অত্যন্ত দ্রুত উন্নতিশীল এক অর্থনীতি তাই তার সঙ্গে বাকি বিশ্বের সংযোগরক্ষা অতি জরুরি। ভারতীয় শক্তির উৎস নিয়েও মোদী চিন্তিত, তিনি বিশ্বের সঙ্গে এর আদান-প্রদানের বিষয়ে বক্তব্য রাখেন। প্রসঙ্গত, ইন্দোনেশিয়ার পরে ভারতই আগামী বছর জি২০ প্রেসিডেন্সির দায়িত্বে থাকবে। জি ২০ বৈঠক বরাবরই অতীব গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, এখানেই বিভিন্ন দেশের মধ্যে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের একটা আভাস মেলে।  এবারও সেই আভাস মিলেছে। চিনের সঙ্গে আমেরিকার দীর্ঘলালিত ঠান্ডা সম্পর্কের পুনরাবৃত্তি এবারেও লক্ষ্য করা গিয়েছে। কিন্তু চিনের সেরা সময় সম্ভবত অতীত, এখন এশিয়ায় ভারত বড় শক্তি হিসেবে উঠে আসছে। ফলে আমেরিকার সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের নতুন সমীকরণ তৈরি হয়ে উঠছে।


জি ২০ বৈঠকে নরেন্দ্র মোদী বলেন, বিশ্বের অগ্রগতির জন্য ভারতের এনার্জি-সিকিউরিটি গুরুত্বপূর্ণ। মোদী বলেন তাঁরা শক্তির সরবরাহের ক্ষেত্রে কোনও বিধিনিষেধ চাপাবেন না, তবে, শক্তির ভারসাম্য বজায় থাকা জরুরি। তিনি বলেন, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতে যত বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে, তার সিংহভাগ হবে পুনর্নবীকরণযোগ্য বস্তু থেকে। তিনি ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধের কথাও বলেন। মনে করিয়ে দেন, ভারত বরাবরই সিজফায়ারের পক্ষে। রাশিয়া-ইউক্রেন আলোচনার টেবিলে বসবে, এটাই কাম্য। শান্তি মৈত্রী ও সুরক্ষার উপরই জোর দেন তিনি। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)