নিজস্ব প্রতিবেদন- বেঁচে থাকতে সম্মান পেলেন না। আজীবন স্রেফ গায়ের রঙের জন্য তাঁকে বঞ্চনা সহ্য করে যেতে হল। তাঁর মর্মান্তিক মৃত্যু গোটা বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছে। এক শ্বেতাঙ্গ পুলিস অফিসার তাঁর গলায় পা দিয়ে চেপে তাঁকে মেরে ফেলল। তাঁর প্রতি এত ঘৃণা, এথ নৃশংসতার কারণ কী! আদতে কোনও কারণই নেই। বর্ণবিদ্বেষ। যুগ যুগ ধরে বয়ে চলা বর্ণবাদের জন্যই করুণ পরিণতি হল জর্জ ফ্লয়েডের। বিশ্বজুড়ে শ্বেতাঙ্গদের প্রতি অনাচার, অত্যাচারের বহু ছবি এর আগেও সামনে এসেছে। বহু ক্ষেত্রে দোষী শাস্তি পেয়েছে। অনেকবার দোষ করেও পার পেয়েছে দোষী। কিন্তু ফ্লয়েডের মৃত্যু যেন নতুন করে বিপ্লবের আগুন উস্কে দিয়ে গেল। এরই মধ্যে সারা বিশ্ব এই জঘন্য কাজের জন্য প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে। চামড়ার রঙ দিয়ে মানুষ বিচার করার এই বর্বরোচিত মানসিকতায় এবার বদল আসা দরকার। ফ্লয়েডের মৃত্যুতে শুধু আমেরিকা কেঁপে উঠেছে তা নয়। গোটা বিশ্ব যেন ক্ষোভে ফুঁসছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বেঁচে থাকতে যাঁকে সম্মান দেওয়া হল না, মৃত্যুর পর তাঁকে সসম্মানে নিয়ে যাওয়া হল কবরস্থানে। কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের নিথর শরীর ঘোড়ায় চেপে অন্তিম গন্থব্যে এল। টেক্সাসের হিউস্টনে ফ্লয়েডের শেষকৃত্যে তাঁর পরিবারের লোকজন ছাড়াও কৃষ্ণাঙ্গ কমিউনিটির জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এদিনও অবশ্য আমেরিকার বহু জায়গায় বিক্ষোভ জারি ছিল। ফ্লয়েডের মৃত্যু কিছুতেই ভুলতে পারছেন না আমেরিকার মানুষ। শেষ যাত্রায় অবশ্য রাজকীয় আয়োজন করা হয়েছিল ফ্লয়েডের জন্য। কিন্তু তাতে লাভ কী হল! বেঁচে থাকতে তাঁকে চরম অপমান, অবিচার সহ্য করতে হল। তার পর এত রাজকীয় আয়োজন, এত সম্মান প্রদর্শন ফ্লয়েডের তো আর দেখে যাওয়া হল না। ফ্লয়েড চিরনিদ্রায় গেলেন মায়ের পাশে। তিনটি ঘোড়ার গাড়ির সমাবেশে তাঁর নিথর দেহ যখন কবরস্থানে এল তখনও আমেরিকার জায়গায় জায়গায় পোস্টার হাতে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভকারীরা। তাতে লেখা ফ্লয়েডের বলা শেষ কযেকটা শব্দ। আই কান্ট ব্রিদ।


আরও পড়ুন- অত্যাচারের প্রতীক; সরাতে হবে রবার্ট ক্লাইভের মূর্তি, খোদ ব্রিটেনেই দাবি তুললেন শয়ে শয়ে ব্রিটিশ


আমেরিকার ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেন ভিডিয়ো বার্তায় ফ্লয়েডকে স্মরণ করেন। পেনসিলভেনিয়ার কৃষ্ণাঙ্গ অধ্যুষিত ফিলাডেলফিয়া শহরে স্থানীয় কাউন্সিলম্যানের উদ্যোগে সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এদিনও ওয়াশিংটন ডিসি, নিউইয়র্কসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ সমাবেশ চলেছে। বহু মানুষ চোখের জলে নিরপরাধ ফ্লয়েডকে শেষ বিদায় জানিয়েছেন। এসবের মধ্যে আমেরিকায় করোনার থাবা কিন্তু চওড়া হচ্ছে। নতুন করে মারা গিয়েছেন প্রায় এগারশো মানুষ। আমেরিকায় করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২১ হাজার। মৃত্যু হয়েছে মোট এক লাখ ১৪ হাজারেরও বেশি মানুষের।