নিজস্ব প্রতিবেদন: অন্য বছরের মতোই ভ্যাপসা গরমে তিতিবিরক্ত মহানগর কলকাতা। তবে সাতসকালেই প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে ঘামে ভিজে যাচ্ছে শরীর। বিগত দেড়শো বছরে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বেড়েছে প্রায় ১ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড (০.৮৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড)। বিশ্বের সর্বত্রই বেড়েছে গরমের তীব্রতা। আবহাওয়া বিজ্ঞানীদের মতে, ক্রমশ ‘হিট এজ’-এর দিকে এগিয়ে চলেছি আমরা। ‘হিট এজ’ কী? আজ থেকে প্রায় ৩০ লক্ষ বছর আগে প্রায় হঠাৎ করেই পৃথিবী পর্যায়ক্রমিক ভাবে শৈত্যযুগ ও অন্তর্বর্তীকালীন উষ্ণ যুগের সম্মুখীন হয়েছে। পৃথিবীর মহাদেশগুলির পারস্পরিক অবস্থান, সূর্যের তুলনায় পৃথিবীর কক্ষপথ ও পৃথিবীর অক্ষরেখার দিক পরিবর্তন, ইত্যাদি বিভিন্ন কারণ এর জন্যে দায়ী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: মহিলার কিডনি থেকে বেরোল ৩,০০০ পাথর, অবাক চিকিত্সকরাও


গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে ধীরে ধীরে আবার সেই উষ্ণ ষুগের দিকেই এগোচ্ছে পৃথিবী। ড্যানিশ মেটেরোলজিক্যাল ইনস্টিটিউট (ডিএমআই) জানাচ্ছে, স্বাভাবিকের থেকে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বেড়েছে উত্তর সাগরে। আগামী ৬০ বছরের মধ্যে তাপ প্রবাহ বা হিট ওয়েভের প্রকোপে প্রতি বছর অন্তত ৫২ হাজার মানুষের মৃত্যু হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন গবেষকরা। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিষুব এবং ক্রান্তীয় অঞ্চলের মানুষ। অর্থাৎ, আফ্রিকা এবং এশিয়ায় বসবাসকারী মানুষ। এর পর ক্ষতিগ্রস্ত হবে ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া এবং আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র। সব মিলিয়ে প্রায় ২০টি দেশ রয়েছে এই বিপদের আওতায়।



আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদকে ‘উত্খাত’ করার দায়িত্ব নিল পাক আমজনতাই


ইদানীং, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে দেখা দিচ্ছে নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ। ভারত, গ্রীস, জাপান এবং কানাডায় উদ্বেগজনক হারে বেড়ে চলেছে মৃত্যু। প্লাস মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে অস্ট্রেলিয়ার মনাশ ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ইউমিং গুও জানান, পরিবেশ বিপর্যয় এবং জনসংখ্যার বৃদ্ধি হার বিবেচনা করলে দেখা যায়, প্রতি বছর ৫১,৭৯৫ জন মানুষের মৃত্যু হবে উচ্চ তাপমাত্রার কারণে। তাঁর মতে, ভবিষ্যতে হিট ওয়েভের প্রকোপ আরও ঘন ঘন দেখা যাবে যা হবে আরও তীব্র এবং আরও দীর্ঘ সময় ধরে চলবে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পরিবেশের এই বিপর্যয় নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে এবং হিট ওয়েভের সঙ্গে মানুষ খাপ খাইয়ে নিতে না পারলে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়বে। বিশেষ করে বিষুবরেখায় অবস্থিত দরিদ্র দেশগুলিতে গরমের তীব্রতায় মৃত্যুর সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাবে। একই সঙ্গে বাড়বে থার্মোপ্লেজিয়া, হিটস্ট্রোক, হিট ক্র্যাম্প এবং হিট সিনকোপ-এ আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাও।