নিজস্ব প্রতিবেদন: ঈশ্বর পুরুষ না নারী? এই প্রশ্নের উত্তরে ক্যান্টারবেরির আর্চবিশপ জানালেন, “ঈশ্বর পুরুষও নন, নারীও নন। তাঁর কোনও নির্দিষ্ট সংজ্ঞা নেই”। চার্চ অব ইংল্যান্ডের শীর্ষ যাজক জাস্টিন ওয়েলবির মতে সমাজ পুরুষতান্ত্রিক ভাবনাচিন্তার বশবর্তী হয়েই ঈশ্বরকে পুরুষ বলে ব্যাখ্যা করে। কিন্তু, ঈশ্বর এই লিঙ্গ বৈষম্যের উর্ধ্বে। তাঁকে নারী বা পুরুষ বলে নির্দিষ্ট কোনও ক্যাটাগরিতে ফেলা চলে না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- প্রাক্তন প্রেমিককে কুচিকুচি করে কেটে রান্না করে রাজমিস্ত্রীদের খাওয়ালেন প্রেমিকা!


এখানেই শেষ নয়, ব্রহ্মবিদ্যান আর্চবিশপ জাস্টিন ওয়েলবি ঈশ্বরকে ‘কিং’ অথবা ‘লর্ড’ বলার পক্ষপাতিও নন। তাঁর ব্যাখ্যায়, গ্রিস ও রোমান বিশ্বে ক্ষমতার অলিন্দে থেকেছেন পুরুষরাই। সেখানে শাসককে ‘কিং’ অথবা ‘লর্ড’ বলেই ডাকা হত। ঈশ্বর এই ভাবনার উর্ধ্বে। জাস্টিন ওয়েলবি গোটা বিশ্বের এই সেকেলে ভাবনার পরিবর্তন করে আধুনিক ও উদারচেতা হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। বর্তমান বিশ্ব অতীত থেকে অনেকটাই বদলেছে, তাই বিশ্ববাসীরও ভাবানায় পরিবর্তন নিয়ে আসতে হবে বলেই মনে করেন তিনি।



(আর্চবিশপ জাস্টিন ওয়েলবি)


প্রসঙ্গত, ইংল্যান্ডের ৪১ শতাংশ খ্রিস্টানই মনে করেন ঈশ্বরের কোনও মানবীয় অবয়ব নেই। তবুও তাঁরা ঈশ্বরের ব্যাখ্যায় সর্বতই পুরুষকেই চিত্রায়িত করেন। খ্রিস্টীয় ইতিহাসের অধ্যাপক ডিয়ারমিড মেকালেক মনে করেন, খ্রিস্টধর্ম আবিষ্কারের আদি পর্যায় থেকেই ঈশ্বরকে পুরুষ হিসেবে ভেবে আসার কারণেই সেই ধারনা থেকে মানুষ এখনও বেরিয়ে আসতে পারেনি। কোনও চিন্তাভাবনা না করেই এমন ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে বলেই মত অধ্যাপক ডিয়ারমিড মেকালেকের।  


আরও পড়ুন- জানেন কোন বিষয়গুলিতে মেয়েরা প্রায়ই ‘মিথ্যে’ বলেন?


উল্লেখ্য, চার্চ অব ইংল্যান্ড ‘আর্টিকেলস অব রিলিজিয়ন’-এ ঈশ্বরের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেছে, ঈশ্বরের নির্দিষ্ট কোনও শরীর নেই। বিভিন্ন ভাবাবেগ দিয়েই ঈশ্বরের সৃষ্টি (গড ইজ উইথআউট বডি, পার্টস অব প্যাশন)। ক্যাথলিক চার্চের শিক্ষা অনুযায়ী ঈশ্বর প্রসঙ্গে যে ব্যাখ্যা দিয়ে থাকে তা ঠিক এই রকম- ‘তিনি নারীও নন, পুরুষও নন। তিনি গড’।