নিজস্ব প্রতিবেদন: কর্মস্থলে হেনস্থার প্রতিবাদে পথে নামলেন এক হাজার গুগল কর্মী। ‘ওয়াকআউট ফর রিয়্যাল চেঞ্জ’, এই একটি লাইনকে সামনে রেখেই বৃহস্পতিবার ভারত-সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতিবাদে শামিল হলেন গুগল কর্মীরা। তাঁদের অনেকেরই অভিযোগ, যৌন হেনস্থার বা কর্মস্থলে পদ ও ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করে কর্মীদের হেনস্থার ঘটনা দীর্ঘদিন ধরে চলছে। আর এই সব অভিযোগ নিয়ে সংস্থা মোটেই তেমন সক্রিয় নয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সম্প্রতি এক মার্কিন দৈনিকে গুগল-এর প্রাক্তন কর্মী, কম্পিউটার প্রোগ্রামার, ইঞ্জিনিয়ার ও অ্যানড্রয়েড-এর স্রষ্টা অ্যান্ডি রুবিনকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৪ সালে গুগল ছেড়ে যাওয়ার সময় অ্যান্ডি রুবিন ৯ কোটি ডলারের প্যাকেজ পাচ্ছিলেন। এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকেই গুগল-এ যাবতীয় বিতর্কের সূত্রপাত। গুগল-এর সিইও সুন্দর পিচাই সংস্থার কর্মীদের লেখা এক খোলা চিঠিতে দাবি করেন, গত দু’বছরে যৌন হেনস্থার অভিযোগে ৪৮ জন কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে। শুধু সতাই নয়, গুগল-এ যৌন হেনস্থার অভিযোগ অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হয়। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কঠোর পদক্ষেপও নেওয়া হয়। কিন্তু সংস্থার কর্মীদের একটা বড় অংশ সুন্দর পিচাই-এর সঙ্গে এক মত হতে পারেননি। তাঁদের অনেকেরই অভিযোগ, সংস্থায় উচ্চপদে থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ওঠা একাধিক হেনস্থার বা যৌন হেনস্থার অভিযোগের পরও তাঁদের দীর্ঘদিন সংস্থায় একই পদে, একই দায়িত্বে বহাল রাখা হয়। যেমন, গুগল অ্যালফাবেট-এর অধিকর্তা রিচার্ড ডেভল-এর বিরুদ্ধেও বছর খানেক আগেই হেনস্থার অভিযোগ ওঠে। কিন্তু তার পরও তিনি সংস্থায় কর্মরত ছিল বহাল তবিয়তেই। সম্প্রতি গুগল কর্মীদের একের পর এক হেনস্থার অভিযোগ আর প্রতিবাদের ঝড় ওঠার পর গত মঙ্গলবার ইস্তফা দেন রিচার্ড ডেভল। প্রশ্ন উঠছে ডেভলের বিরুদ্ধে হেনস্থার গুরুতর অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও এত দিন তাঁর বিরুদ্ধে গুগল কেন কোনও ব্যবস্থা নিল না!


অনেক গুগল কর্মীই চাইছেন, যৌন হেনস্থার অভিযোগের ক্ষেত্রে সংস্থার চুক্তিপত্রে এবং নিয়মের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পরিবর্তন আনা হোক। গুগল-কর্মীদের দাবি, যৌন হেনস্থা বা পক্ষপাতের অভিযোগের ক্ষেত্রে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে যাতে মামলাও করার যায়, তার জন্য চুক্তিপত্রে বদল আনুক সংস্থা। আর এই সব দাবিতেই এবার সরব হয়েছেন গুগলের হাজার হাজার কর্মী। এই প্রশঙ্গে সংস্থার সিইও সুন্দর পিচাই জানান, বিষয়টি তিনি জানেন। যাঁরা এই প্রতিবাদে যোগদানে ইচ্ছুক, গুগল তাঁদের পাশে আছে।