নিজস্ব প্রতিবেদন: ভারতে ফেরা ছাড়া আর গতি দেখছেন না ঋণখেলাপিতে অভিযুক্ত বিজয় মালিয়া। লন্ডন কোর্টও জানিয়ে দিয়েছে, মালিয়ার প্রত্যর্পণে আর কোনও বাধা নেই ভারতের। ওয়েস্টমিনিস্টার ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে যদি না উচ্চ আদালতে দ্বারস্থ হন মালিয়া, তা হলে খুব শীঘ্রই তাঁকে দেশে ফেরাচ্ছেন তদন্তকারীরা। এর মধ্যে এনডিটিভি-কে দেওয়া সাক্ষাত্কারে মালিয়া অভিযোগ করেন, জনগণের টাকা উদ্ধারে চেয়ে তাঁকে দেশে ফেরানোয় বেশি মাথাব্যাথ্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- রাফাল রিপোর্ট হাতে না পেলে সুপ্রিম কোর্টে যাক কংগ্রেস, ‘বার্তা’ স্বামীর


লিকার ব্যারন আরও বলেন, “মিডিয়া যে ভাবে আমায়  পলাতক বলে তকমা দিচ্ছে, বিষয়টি কিন্তু তা নয়”। মালিয়ার যুক্তি, ১৯৮৮ সাল থেকে ব্রিটেনে রয়েছেন তিনি। ১৯৯২ সালে সে দেশের নাগরিকত্ব পান মালিয়া। তাঁর কথায়, “২০০২ সালে নির্বাচনে লড়ার সময় ‘এনআরআই’ বলে যখন কর্নাটক হাইকোর্ট এবং নির্বাচন কমিশনের কাছে বিজেপি অভিযোগ জানায়, তখনও আমি জিতেছিলাম। ব্রিটেন যদি আমার প্রাথমিক ক্ষেত্র হয়, তা হলে কী করে পলাতক হলাম।”


আরও পড়ুন- ‘হায়দর’-এর অভিনেতা, জঙ্গি বিলাল নিহত এনকাউন্টারে


উল্লেখ্য, দু’বছর ধরে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ে চলতি সপ্তাহে মালিয়ার ভারতে প্রত্যর্পণে অনুমতি দেয় লন্ডন কোর্ট। এমনকি জানিয়ে দেয়, ভারতের জেলে থাকতে ‘ফ্ল্যামবয়’ মালিয়ার কোনও অসুবিধা থাকতে পারে না। কমপক্ষে ১৭টি ব্যাঙ্ক থেকে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে দেশ ছাড়ার অভিযোগ রয়েছে কিংফিশার এয়ারলাইন্সের কর্ণধার মালিয়ার বিরুদ্ধে। মিটমাটের জন্য সম্প্রতি নরম সুর শোনা গিয়েছে মালিয়ার গলায়। টুইটে মালিয়া দাবি করেন, সম্পত্তি বেচে ব্যাঙ্কের ঋণ মিটিয়ে দিতে রাজি তিনি। ‘ঋণখেলাপি’ হিসাবে গণ্য না করার দাবি জানিয়ে মালিয়া যুক্তি দেন, ঋণ নিয়েছে তাঁর সংস্থা কিংফিশার এয়ারলাইন্স। সংস্থা যদি আর্থিক দুরাবস্থায় ভোগে, সেই সংস্থার গ্যারেন্টার হওয়ার জন্য এভাবে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে পারে না।


আরও দুই ঋণখেলাপি ব্যক্তি, ললিত মোদী এবং নীরব মোদীকে কিছু বার্তা দিতে চান, প্রশ্ন করা হলে বিজয় মালিয়ার সাফ উত্তর, ললিত মোদী এই মুহূর্তে খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর বিষয়ে কিছু বলা উচিত হবে না। আর নীরব মোদী সম্পর্কে আমার কিছু জানা নেই।