ওয়েব ডেস্ক: ছোট বেলার প্রতি রাতে ঠাকুমার ঝুলির গল্প বলে ঘুম পাড়ানো কিংবা মা বকলে ছূট্টে গিয়ে লুকোনো। অথবা বাবা লাঠি নিয়ে পেটাতে এলে তাঁকে ঢাল করে দাঁড়িয়ে পরা। ছোট্ট শিশুর কাছে দাদু-ঠাকুমা মানেই বড় আদরের। মা-বাবার পরেই তাঁর আবদারের জায়গা হল দাদু-ঠাকুমা। কিন্তু এই আদর-আবদার যদি আর এমনটা না থাকে? বাবার মারের ভয়ে লুকতে যাওয়া সেই নিরাপদ ঠাকুমার কোল যদি হয়ে ওঠে সবথেকে আতঙ্কের?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

চেক প্রজাতন্ত্রের ১৩ বছরের ছেলেটার এমনই অভিজ্ঞতা হয়েছে। ঠাকুমার কাছে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল ছেলেটি। সেই সময় হঠাতই ঠাকুমার মাথায় চেপে বসে টাকার লোভ। বিমার টাকা পেতে তাই ফন্দি আঁটেন নাতিকে মেরে ফেলার। ওয়াইনের সঙ্গে মাদক মিশিয়ে নাতিকে খাওয়ান ওই মহিলা। নাতি অচৈতন্য হয়ে পড়লে ঘরে আগুন লাগিয়ে দিয়ে পালিয়ে যান। তাঁর প্ল্যান ছিল আগুনে পুড়ে নাতি মারা গেলে ফায়ার ইন্সুরেন্সের ১০ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকা তিনি দাবি করবেন বিমা কোম্পানির কাছে। সেই টাকা দিয়ে ধার দেনা যা আছে শোধ করে বাকি জীবনটা আরামেই কেটে যাবে।


কিন্তু কথায় বলে না, রাখে হরি মারে কে। তাই সবকিছু পরিকল্পনামাফিক চললেও শেষবেলায় ঘরে আগুন জ্বলতে দেখে প্রাতিবেশীরা উদ্ধার করে নিয়ে যায় ছেলেটিকে। আদালতে মামলা দায়ের হলে নাতিকে খুনের চেষ্টায় ১৬ বছরের জেল হয় ওই মহিলার।