ব্যুরো: বয়স ১৩৪ বছরে না পৌছলে ওদের শরীরে যৌবনই আসে না। আর আয়ু? ৪০০ বছর পর্যন্ত দিব্যি হেসে-খেলে বেঁচে থাকে ওরা। পৃথিবীর বৃহত্তম মাংসাশী হাঙর সম্পর্কে এমনই তথ্য দিচ্ছেন গবেষকরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গ্রিনল্যান্ড হাঙর 


সম্ভবত এরাই দুনিয়ার সবচেয়ে বেশিদিন বেঁচে থাকা প্রাণী। সমুদ্রের নীল জলরাশি। অনন্ত সেই গভীরতা। যে গভীরতায় লুকিয়ে রয়েছে কত অজানা কাহিনি। কত নাম না জানা প্রাণির বাসস্থান। নীল জলরাশির গভীরে রহস্যের আকর। যে রহস্য ভেদ করতে ধরাচূড়া পরে ওই গভীরে ডুব দিয়েছে কতই না অনুসন্ধিত্সু মন। যেখানে পদে পদে ধেয়ে এসেছে বিপদ। কখনও পিছু ধাওয়া হিংস্র পিরানহার। কখনও বা হাঙরের ভয়ঙ্কর হাঁ। মৃত্যু যেন ওঁত পেতে রয়েছে। তবুও সেই মৃত্যুকে পায়ের ভৃত্য করে অনন্ত নীল জলরাশির গভীরে মাইলের পর মাইল পাড়ি দিয়েছে মানুষ। এই প্রজাতির হাঙরদের জীবন নিয়ে গবেষণা চালিয়েছে একদল গবেষক।


২৮টি গ্রিনল্যান্ড হাঙরের ওপর রেডিওকার্বন ডেটিংয়ের মাধ্যমে গবেষণা চালান ডেনমার্কের সমুদ্রবিজ্ঞানী জুলিয়াস নিয়েলসন। চোখের দৃষ্টি পরীক্ষা করে তাদের বয়স নির্ধারণ করা হয়। 


নিয়েলসেনের চাঞ্চল্যকর দাবি, একটি হাঙরের বয়স মাপা হয়েছে আনুমানিক ৩৯২ বছর। ৯৫ শতাংশ গ্রিনল্যান্ড হাঙরের বয়স ২৭২ থেকে ৫১২ বছর। প্রায় ১৮ ফুট লম্বা গ্রিনল্যান্ড হাঙরের শারীরিক বৃদ্ধির হার বছরে এক ইঞ্চির দশ ভাগের চার ভাগ। ১৩৪ বছর বয়সে মা হয় এই গ্রিনল্যান্ড হাঙর। 


লম্বা এবং ফোলা শরীর। গোল নাক। খসখসে চামড়া। ধূসর কিংবা কালো ছোপ ছোপ শরীরের রং। খুব জোরে সাঁতার কাটতে পারে না। কারণ, এরা প্রায় অন্ধ। তবে শিকারি হিসাবে এক্কেবারে চোস্ত। উত্তর অ্যাটলান্টিকে এদের আনাগোনা। তবে সাধারণত গবেষকদের কাছে এরা ব্রাত্যই। বিশ্বের কয়েকজন বিজ্ঞানী এই প্রজাতির হাঙরদের নিয়ে কাজ করছেন।