বন্দুকবাজের নির্বিচার গুলিতে রক্তাক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিনাগগ, নিহত কমপক্ষে ১১
সিনাগগটিতে একটি শিশুর নামরকণ অনুষ্ঠান চলছিল। ফলে জমায়েত হয়েছিলেন বেশকিছু মানুষ
নিজস্ব প্রতিবেদন: ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলাকালীন দাঁডিয়ে চিতকার করে উঠল বছর ছেচল্লিশের এক বন্দুকাধারী। মূহুর্তের মধ্যে গুলি চালিয়ে মেরে ফেলল সিনাগগে আসা ৮ প্রার্থনাকারীকে। পরে মারা যান আরও ৩ জন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ার পিটসবার্গের ঘটনা।
আরও পড়ুন-রথযাত্রায় শাসকের হামলা ঠেকাতে প্রাক্তনীদের ভরসায় বঙ্গ বিজেপি
শনিবার পিটসবার্গের ওই ইহুদি উপাসনালয়ে প্রার্থনা চলছিল। এর মধ্যেই বন্দুক থেকে নির্বচারে গুলি চালায় রবার্ট বোয়ার্স নামে ওই ঘাতক। গুলি চালানোর আগে সে চিতকার করে ওঠে, এইসব ইহুদিদের মরে যাওয়া উচিত। বোয়ার্স শেষপর্যন্ত পুলিসের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে বলে সংবাদমাধ্যমের খবর।
পিটসবার্গের পাবলিক সেফটি ডিরেক্টর ওয়েনডেল হিসরিচ সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৬ জন। নিহত বা আহতদের মধ্যে কোনও শিশু নেই।
ঘটনার দিন সিনাগগটিতে একটি শিশুর নামরকণ অনুষ্ঠান চলছিল। ফলে জমায়েত হয়েছিলেন বেশকিছু মানুষ। বন্দুকবাজের কথা থেকে মনে কার হচ্ছে এটি একটি ধর্মীয় বিদ্বেষের ঘটনা। পিটসবার্গ পুলিসের এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ধর্মীয় কারণে হামলাকারী গুলি চালিয়েছে। মনে হচ্ছে সে একাই ওই কাণ্ড করেছে।
আরও পড়ুন-কোহলি-বুমরাহ ছাড়া বাকিরা লবডঙ্কা! ভারতকে অলআউট করল উইন্ডিজ
সিনাগগটির প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মাইকেল এইসেনবার্গ সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, অন্যান্য দিনের মতো এদিনও সিনাগগে পুলিস ছিল। সিনাগগে সাবাথের অনুষ্ঠান চলছিল। ফলে দরজা ছিল খোলা। অনুষ্ঠানে কমপক্ষে ৪০ জন উপস্থিত ছিলেন। এদের অধিকাংশই বয়স্ক মানুষ।
এদিকে, ওই গুলিচালনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডেনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন পাতাকা অর্ধনমিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সম্ভবত তিনি পিটসবার্গে যেতেও পারেন।