জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কাতারের মধ্যস্থতায় গাজায় হামলা থামিয়েছে ইজরায়েল। তবে তার আগেই গাজায় মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার মানুষের। এদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু ও মহিলা। আপাতত যুদ্ধবিরতি চলছে দু'পক্ষের মধ্যে। চলছে বন্দি বিনিময়ও। এর মধ্যেই হামাস জানিয়ে দিল তাদের হাতে অপহৃত সব ইজরায়েলি সেনাকে ছেড়ে দেওয়া হবে। তবে তার জন্য ইজরায়েলের জেলে আটক সব ফিলিস্তিনি বন্দিদের ছেড়ে দিতে হবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- ভিনরাজ্য থেকে সমুদ্রপথে আনা হয়েছিল ট্রলার বোঝাই গোরু, হাতনাতে ধরে ফেলল গ্রামবাসীরা


ইতিমধ্যেই ১৪ জনকে ছেড়ে দিতে সম্মত হয়েছে হামাস। এদের মধ্যে ১০ জন ইজরায়েলি। ৪ জন থাইল্যাল্ডের নাগরিক। যুদ্ধবিরতি যাতে বাড়ানো যায় তা নিয়ে কথাবার্তা চলছে দুপক্ষের মধ্যে। এর মধ্য়েই ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বাসেম নইম কেপ টাউনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, ইজরায়েলের সব সেনাকে ছেড়ে দেওয়া হবে যদি সেখানকার জেলে বন্দি সব ফিলিস্তিনিকে ছেড়ে দেওয়া হয়।


গত ৭ অক্টোবক আচমকা এক হামলায় প্রায় ১২০০ ইজরায়েলিকে মেরে ফেলে হামাস। বন্দি করে নিয়ে যায় ২৪০ জনকে।  পাল্টা হামলায় গাজায় নির্বাচারে বোমা ফেলে ১৫০০ মানুষকে মেরেছে ইজরায়েলি সেনা। এরমধ্যেই কাতারের মধ্যস্থতায় ৬ ইজরায়েলিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। পরিবর্তে ১৮০ ফিলিস্তিনিকে ছেড়েছে ইজরায়েল। বন্দিমুক্তির ক্ষেত্রে ইজরায়েলি সেনাদের বাইরে রেখেছে হামাস। এবার তাদের নিয়েই বাজি ধরছে হামাস। তবে তারা ঠিক কতজন ইজরায়েলি সেনাকে আটকে রেখেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।


বারো বছর আগে ২০১১ সালে একই কৌশল নিয়েছিল হামাস। টানা ৫ বছর ইজরায়েলি সেনা গিলাদ শালিতকে মুক্তি দেয়ে হামাস। তার বিনিময়ে ইজরায়েলকে ছাড়তে হয়েছিল ১০০০ ফিলিস্তিনিকে। গাজার বিভিন্ন এনজিওগুলির দাবি, ইজরায়েলের জেলে বন্দি রয়েছেন কমপক্ষে ৭০০০ ফিলিস্তিনি। হামাস এখন চাইছে আরও দিন চারেক যুদ্ধ বিরতি চলুক। তার মধ্যেই ফিলিস্তিনিদের ছাড়িয়ে আনতে পারবে।  এনিয়ে কথাবার্তা চলছে বলে জানিয়েছেন নইম।


 


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)