Iran Commander`s Warning For Donald Trump: ফের রক্ত? হত্যা করতে চাই ট্রাম্পকেই, হুংকার ইরানের শীর্ষ সামরিক নেতার...

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ইরাক-ইরানের সঙ্গে আমেরিকার দীর্ঘ শত্রুতার ঐতিহ্য চলছেই। সম্প্রতি আবার তা প্রকাশ্যে এল। ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যা করতে চেয়েছে ইরান! এমনই জানালেন ইরানের সামরিক সংস্থা রেভোলি‌উশনারি গার্ডস এরোস্পেস ফোর্সে’র প্রধান আমিরালি হাজিজাদেহ। আমেরিকার হাতে খতম হওয়া ইরানের শীর্ষ নেতার মৃত্যুর বদলা নিতেই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যার এই ছক কষা হচ্ছে বলে তাঁর দাবি।

সম্প্রতি ১৬৫০ কিলোমিটার পাল্লার এক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে ইরান। রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতে ইউক্রেনের উপর আরও আগ্রাসী হতে রুশ সেনার হাতে এই ড্রোন তুলে দিয়েছে ইরান। রাশিয়া সেই ড্রোন ইউক্রেনের বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং সে দেশের বহু সরকারি আবাসন ধ্বংস করতে ব্যবহার করেছে বলে শোনাও গিয়েছে। ইরানের এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আমিরালি তাদের শত্রুদেশগুলির প্রতি খানিকটা হুঁশিয়ারি দেওয়ার সুরে বলেছেন, ১৬৫০ কিলোমিটার পাল্লার একটি নতুন ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ইরানের অস্ত্রাগারে জায়গা পেয়েছে।

যদিও ইরানের দাবি, আমেরিকা বা ইউরোপের প্রতি বিদ্বেষবশত নয়, বরং সম্পূর্ণরূপে নিজেদের দেশের প্রতিরক্ষার স্বার্থে এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি তৈরি করা হয়েছে! সময়ই বলবে, এই কথা কতদূর সত্য।

তবে মূল বিষয় হল, ট্রাম্পকে হুঁশিযারি। আমিরালির যে সাক্ষাৎকারের কথা বলা হল, সেই সাক্ষাৎকারেই ট্রাম্পের প্রসঙ্গ ওঠে। আমিরালি তখন জানান, ২০২০ সালে বাগদাদে আমেরিকা ড্রোন হামলা চালিয়েছিল। সেই হামলায় ইরানের সামরিক কমান্ডার কাসেম সোলেমানি নিহত হয়েছিলেন। তার পর থেকেই এর বদলা নিতে চেয়েছে ইরান। বদলা নিতে কয়েক দিন পরে ইরাকে থাকা আমেরিকা সেনার উপর ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের হামলাও চালিয়েছিল ইরান। তাতে মারা গিয়েছিল আমেরিকার একাধিক সেনা। যদিও সেই সেনাদের হত্যা করা ইরানের উদ্দেশ্য ছিল না। ইরানের মত হল-- সোলেমানি হত্যার আসল দায় ট্রাম্পের, তাই ট্রাম্পকেই তারা হত্যা করতে চায়। আর সেই লক্ষ্য থেকে তারা সরে আসেনি!