আদালতের রায়ে হিরো আলমের প্রার্থী হওয়ায় আর কোনও বাধা রইল না
২৮ নভেম্বর নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন হিরো আলম। কিন্তু গত ২ ডিসেম্বর রিটার্নিং অফিসার তাঁর মনোনয়নপত্রটি যাচাইয়ের পর বাতিল ঘোষণা করেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আদালতের নির্দেশে বাংলাদেশের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করলেন আশরাফুল ইসলাম আলম ওরফে হিরো আলম। ইউটিউব ভিডিও দৌলতে দুই বাংলার মানুষের কাছেই জনপ্রিয়তা পেয়েছেন এই বাংলাদেশি নায়ক। এবার বাংলাদেশের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন হিরো আলম। তবে তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। এরপরই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন আলম। আদালতের নির্দেশে বগুড়া-৪ আসনে তাঁর প্রার্থী হওয়া নিয়ে আরও কোনও বাধা রইল না।
২৮ নভেম্বর নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন হিরো আলম। কিন্তু গত ২ ডিসেম্বর রিটার্নিং অফিসার তাঁর মনোনয়নপত্রটি যাচাইয়ের পর বাতিল ঘোষণা করেন। মনোনয়নপত্র স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগ ওঠে। তাঁর মনোনয়নপত্রটি বাতিল করে নির্বাচন কমিশনও। কিন্তু হাল ছাড়েননি আলম। আদালতে মামলা জেতার পর হিরো আলমের প্রতিক্রিয়া,''আমাকে মনোনয়নপত্র পেশের অধিকার দিয়েছে আদালত। প্রতীক দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এবার বগুড়ায় গিয়ে প্রচার শুরু করব''।
বগুড়া-৪ আসনে শক্তিশালী বিরোধী দল বিএনপি। ওই আসনে এবার বিএনপি প্রার্থী মোশারফ হোসেন। তাঁর বিরুদ্ধে লড়ছেন আওয়ামি লিগের সমর্থিত জাসদের প্রার্থী তথা সাংসদ এম কে এম রেজাউল করিম তানসেন। এই কেন্দ্রেই এবার প্রার্থী হওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন হিরো আলম। কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ঘাবড়াচ্ছেন নায়ক। তাঁর কথায়, ''কোনও দল বা চিহ্ন দেখে কেউ ভোট দেয় না এখন। প্রার্থী দেখেই মানুষ ভোট দেবেন। নির্বাচনী লড়াইয়ে আমি শক্তিশালী প্রার্থী''।
বগুড়ার এরুলিয়ার হিরো আলম জীবনে বহু প্রতিকূলতা পেরিয়ে সাফল্য পেয়েছেন। দুই বাংলাতেই জনপ্রিয় আলম। মূলত ইউটিউব ও ফেসবুকে নানা ভিডিওর মাধ্যমেই পরিচিত মুখ তিনি।
আরও পড়ুন-বিজয় মালিয়াকে ভারতে ফেরাতে সম্মতি দিল ব্রিটেনের আদালত