ওয়েব ডেস্ক: বেশ কয়েকমাস লড়াইয়ের পর অবশেষে প্রথম মহিলা হিসেবে হিলারি ক্লিনটনই মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে কোনও প্রধান রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন পেতে চলেছেন। এবার রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে চূড়ান্ত লড়াই দেখা যাবে হিলারিকে। বার্নি স্যান্ডার্সকে হারিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে ডেমোক্র্যাট প্রার্থীদের মধ্যে লড়াইয়ে জিতে ডেমোক্র্যাট দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে চলেছেন হিলারি ক্লিনটন। প্রেসিডেন্ট পদের লড়াইয়ের জন্য হিলারির ঠিক যত ভোটের দরকার ছিল, তা তিনি জোগাড় করে ফেললেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

যদিও লড়াকু স্যান্ডার্স এখনও হাল ছাড়ছেন না। স্যান্ডার্সের দাবি, আগামী মাসে ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কনভেনশনের চূড়ান্ত ভোটাভুটির আগে ভোট গণনা উচিত নয়। তবে গত সপ্তাহে পুয়ের্তো রিকোয় সহজ জয় ও বেশ কয়েকজন অনির্বাচিত ডেমোক্র্যাট সদস্যের ভোট নিশ্চিত করে হিলারি ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত ভোটে দাঁড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় ২,৩৮৩জনের সমর্থন নিশ্চিত করেছেন। ফলে বলা যেতেই পারে, রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ডেমোক্র্যাটদের হয়ে হিলারিই লড়ার সরকারী ঘোষণটা শুধুই সময়ের অপেক্ষা ।  



যদিও ডেমোক্র্যাট প্রার্থীর মনোনয়নের জন্য মঙ্গলবারই ভোটে যাবে আরও ছটি রাজ্য। এই ছটি রাজ্যের ভোটের তাত্‍পর্য এখন একটাই। যদি স্যান্ডার্স সবগুলোতে জিতে যান, তবে হিলারির পক্ষে হোয়াইট হাউসের লড়াই কঠিন হয়ে পড়বে। ফলে গত মাসে রিপাবলিকানদের মনোনীত প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষেও বলা সহজ হয়ে যাবে, দুর্বল হিলারিকে ভোট দিয়ে প্রেসিডেন্ট পদে জেতানো অর্থহীন।


মজার কথা হল, যেদিন হিলারি হোয়াইট হাউসে রাজত্বের মূল লড়াই শুরু করলেন, সেই একই দিনে আট বছর আগে বারাক ওবামার বিরুদ্ধে সমানে সমানে টক্কর দিয়েও শেষে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারে বাধ্য হন তিনি।