নিজস্ব প্রতিবেদন: ৩১ জানুয়ারি স্থানীয় সময় রাত ১১ টায় শেষ হল ৪৭ বছরের সম্পর্ক। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছেড়ে পাকাপাকি ভাবে বেরিয়ে এল ব্রিটেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

১৯৭৩ সালে ‘ইউরোপীয় ইকনমিক কমিউনিটি’-তে যোগ দেয় ব্রিটেন। ১৯৯২ সালে ‘ইউরোপীয় ইকনমিক কমিউনিটি’-ই পরিবর্তিত হয়ে ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন’। এই ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন’ সমগ্র ইউরোপে মুক্ত বাণিজ্যের সুযোগ করে দেয় ইউরোপীয় দেশগুলিকে। চাঙ্গা হয় ইউরোপীয় অর্থনীতি। সূচনা হয় নতুন যুগের। ৪৭ বছর পর ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন’ ছেড়ে ব্রিটেন বেরিয়ে আসায় অবসান হল সেই অধ্যায়ের।


বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইউরোপীয় পার্লামেন্টে পাশ হয় ব্রেক্সিট বিল। ৬৮৩ সদস্যের ইউরোপীয় পার্লামেন্টে এই বিলের পক্ষে ৬২১টি ভোট পড়ে আর বিপক্ষে ভোট পড়ে মাত্র ৪১টি। ৬৮৩ সদস্যের মধ্যে ২১ জন ভোটে অংশগ্রহন করেননি।


আরও পড়ুন: চিন থেকে করোনা ছড়িয়ে ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-সহ ১৮ দেশে আক্রান্ত ১০০


ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানান, গত প্রায় ৫০ বছরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন যে পথে হেঁটেছে তা তাঁদের দেশের সঙ্গে মানানসই নয়। তাই সার্বভৌমত্ব ফিরে পাওয়ার পর এই মুহূর্তে তাঁদের প্রথম কাজ, যে সব কারণে মানুষ তাঁদের ভোট দিয়েছেন, সেগুলি বাস্তবায়িত করা। এর মধ্যে রয়েছে বন্দরগুলিকে নিয়ন্ত্রণ মুক্ত করা, অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ করা, মৎস্যশিল্পের স্বাধীনতা ইত্যাদি। জনসন বলেন, “আমি জানি অনেকের মধ্যেই এখনও উদ্বেগ বা অনিশ্চয়তা রয়েছে বা অনেকেই রাজনৈতিক দোলাচল নিয়ে চিন্তিত। তবে এটি প্রকৃতপক্ষে জাতীয় পরিবর্তনের মুহূর্ত। অনেকের জন্যই আজ নতুন যুগের সূচনা হতে চলেছে। ধানমন্ত্রী হিসেবে আমার কাজ সকলকে আশ্বস্ত করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।”