নিজস্ব প্রতিবেদন - কয়েক মাসে আগে পাকিস্তানের নানকানা সাহেব গুরদ্বারায় হামলার ঘটনা ঘটেছিল। হিন্দু মেয়েদের অপহরণ করে ধর্মান্তকরণ পাকিস্তানের রোজনামচা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন করেছেন, ইমরান খানের আমলে পাকিস্তানে কি এবার তালিবানি শাসন কায়েম হবে? পাকিস্তানকে অন্ধকার থেকে টেনে তুলবেন, এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েই তিনি ক্ষমতায় এসেছিলেন। কিন্তু বাস্তবে তাঁর কথা ও কাজে বিপরীত স্রোত। প্রায় ১২০০ বছরের বৌদ্ধ নিদর্শন নষ্ট করা হল পাকিস্তানে। ইমরান খান টু শব্দ করলেন না এই নিয়ে। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের গিলগিট - বালটিস্থানে বৌদ্ধ পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন নষ্ট করা হল। পাথরের ওপর খোদাই করা বৌদ্ধ মূর্তি নষ্ট করে তাতে কালি লেপে দেওয়া হল। শুধু তাই নয়, ঐতিহাসিক নিদর্শনের ওপর আঁকা হল পাকিস্তানের পতাকা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এমন কদর্য ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত। এই ঘটনার রেশ ধরে এবার বেআইনিভাবে দখল করা ভারতের এলাকা পাকিস্তানকে খালি করতে বলা হয়েছে। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক সুর চড়িয়ে বলেছে, পাকিস্তান গিলগিট, বালটিস্থানের নাগরিকদের অধিকার খর্ব করছে বহুদিন ধরে। গায়ের জোরে ভারতের বেশ কিছু এলাকা পাকিস্তান দখল করে রেখেছে। আর সেইসব এলাকায় বহু প্রাচীন নিদর্শন নষ্ট করা হচ্ছে। এসব আর মেনে নেওয়া হবে না। অবিলম্বে পাকিস্তানকে বেআইনিভাবে দখল করা এলাকা ছাড়তে হবে।


আরও পড়ুন- প্রযুক্তি সংস্থাগুলি থেকে ভারত কত টাকা শুল্ক নেয়? তদন্ত করবেন ট্রাম্প


২০০১ সালে বামিয়ান প্রদেশে ১৫০০ বছরের পুরনো বুদ্ধ মূর্তি নষ্ট করেছিল তালিবানরা। সেই ঘটনার পর নিন্দার ঝড় উঠেছিল সারা বিশ্বে। প্রাচীন নিদর্শন নষ্ট করে ইতিহাসের ক্ষতি করার এই প্রবণতা কণয় সভ্য জাতির হতে পারে না। এমনই জানিয়েছিলেন অনেকে। ১৯ বছর পর আবার একই কাণ্ড ঘটাল পাকিস্তান। তালিবানি শাসকদের সঙ্গে তাদের আর কোনও ফারাক রইল না। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পাকিস্তানের এই দুষ্কর্ম প্রকাশ্যে এসেছে। তারপর থেকেই ইমরান খানের সরকারের সমালোচনা চলছে। পাক প্রধানমন্ত্রী অবশ্য বরাবরের মতো চুপচাপ রয়েছেন।  তবে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক এবার কাশ্মীরে পাকিস্তানের দখলদারির অবসান দাবি করেছে।