নিজস্ব প্রতিবেদন: তারা কখনও বিশ্বাসঘাতকতা করে না। এমনকী বিপদের মুহূর্তে কখনও ছেড়ে চলে যায় না...সারমেয়দের নিয়ে এমন কথা হামেশাই শুনতে পাওয়া যায়। সত্য তো বটেই। তা আরও একবার প্রমাণ হল ব্রাজিলের একটি ঘটনায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সান্তা ক্যাটারিনার হসপিটাল রিজিওন্যাল অল্টো ভ্যালেতে ভীষণ অসুস্থতা নিয়ে ভর্তি হন সিজার নামে এক তরুণ। দেখার কেউ নেই। তবে, ওই তরুণের ভর্তির সময় হাসপাতালের দরজার সামনে ঠায় দাঁড়িয়েছিল ৪টি কুকুর। ওই হাসপাতালের নার্স ক্রিস ম্যামপ্রিম ফেসবুকে জানিয়েছেন, রাত যখন ৪টে বাজে, ওই জায়গা থেকে এক চুলও সরেনি সারমেয়রা। ক্রিসের কথায়, প্রত্যেকের বিষন্ন মুখ। ফ্যালফ্যাল দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছে তারা। সারমেয়দের এমন শিষ্ঠাচার দেখে অবাক হয়েছেন হাসাপতালের কর্মীরাও।



আরও পড়ুন- জোড়া ধাক্কা খেল দাউদ: ভারতের হাতে ভাইপো, আবু ধাবিতে গ্রেফতার ছোটা শাকিলের ভাই


ওই সারমেয়দের সঙ্গে সিজার কী সম্পর্ক? নিশ্চয়ই এমন কৌতূহল জাগছে। ভবঘুরে সিজারের জীবন কাটে ফুটপাথেই। খাবার জুটলে পেট ভরায় কোনওদিন বা তা-ও হয় না। কিন্তু  যে দিন খাবার জোটে, তার প্রথম ভাগ যায় ওই সারমেয়দের জন্য। সুখে-দুঃখে সবসময়ের সঙ্গী ওই সারমেয়রা। সিজার যখন অসুস্থ হয়ে পড়ে, সারমেয়দের তত্পরতায় নাকি পথচারীরা হাসপাতালে ভর্তি করে দেয় তাঁকে।



আরও পড়ুন- উপযুক্ত প্রমাণ নেই, সরবজিত খুনে ২ মূল অভিযুক্তকে মুক্তি দিল পাক আদালত


ক্রিসে জানিয়েছেন, ভোরে কিছুটা সুস্থ হন সিজার। এরপর তাঁর কাছে  সারমেয়দেরকে যেতে অনুমতি দেওয়া হয়। ক্রিসের কথায়, ওই সারমেয়দের ভদ্রতা দেখে অবাক তিনি। যত ক্ষণ না তাদের ভেতরে ঢুকতে অনুমতি দেওয়া হয়েছে,  ‘বন্ধুর’ অপেক্ষায় বাইরে চুপটি করে বসেছিল তারা। পরে, হাসপাতল কর্তৃপক্ষ থেকে সিজার এবং ৪ সারমেয়কে খাবার দেওয়া হয়। ‘বন্ধুর’ সুস্থতার ট্রিট পেয়ে ভীষণ খুশি ওই ৪ সারমেয়।