প্লুটোর দুই চাঁদ ঘোরে আপন তালে, সামনে পিছনে, থেমে থেমে
নিক্স আর হাইড্রা। প্লুটোর এই দুই চাঁদ একেবারে লাগামছাড়া, বাঁধনহারা। গোটা মহাকাশের গ্রহদের সব চাঁদরা যখন কক্ষপথে একই গতিতে একই নিয়ম মেনে ঘুরে চলে। তখন ওরা দুজন মানে নিক্স আর হাইড্রা ঘোরে আপন খেয়ালে। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন ওদের আচার আচরণ দেখে নাম দেওয়াই যায় স্বাধীন চাঁদ। নাসার এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে সৃষ্টি ছাড়া এই দুই চাঁদ কখনও ঘোরে খুব জোরে, কখনও খুব আস্তে। কখনও আবার উল্টো দিকে, কখনও পাশাপাশি, কখনও আবার স্বাভাবিক নিয়মে।
ওয়েব ডেস্ক: নিক্স আর হাইড্রা। প্লুটোর এই দুই চাঁদ একেবারে লাগামছাড়া, বাঁধনহারা। গোটা মহাকাশের গ্রহদের সব চাঁদরা যখন কক্ষপথে একই গতিতে একই নিয়ম মেনে ঘুরে চলে। তখন ওরা দুজন মানে নিক্স আর হাইড্রা ঘোরে আপন খেয়ালে। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন ওদের আচার আচরণ দেখে নাম দেওয়াই যায় স্বাধীন চাঁদ। নাসার এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে সৃষ্টি ছাড়া এই দুই চাঁদ কখনও ঘোরে খুব জোরে, কখনও খুব আস্তে। কখনও আবার উল্টো দিকে, কখনও পাশাপাশি, কখনও আবার স্বাভাবিক নিয়মে।
ফলে আমরা যেমন পৃথিবীতে চাঁদের একটা দিকই দেখতে পাই। তেমন যদি আমাদের বাস প্লুটোয় হত তাহলে নিক্স আর হাইড্রা নামের স্বাধীন ওই দুটো চাঁদকে প্রতিরাতে আলাদা আলাদা রকম দেখতে পেতাম। একবার ভেবে দেখুন ছাদে কিংবা খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে প্রতি রাতে চাঁদের ভিন্ন ভিন্ন রূপ দেখছেন।
নাসার বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্লুটোর এই দুটো চাঁদ লুকিয়ে রাখা কোনও অংশ নেই। প্লুটোর আরও দুটো চাঁদ কেরবেরস ও স্টাইক্সও হয়তো আপনতালে খামখেয়ালি হয়ে ঘোরে বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও এই ব্যাপারে এখনও কোনও সিদ্ধান্তে আসতে রাজি নয় নাসা।
নিক্স এবং হাইড্রা চাঁদদ্বয় আবিষ্কৃত হয় ২০০৫ সালে। দুটো চাঁদই হাবল টেলিস্কোপের সাহায্যে আবিষ্কার করা হয়। প্লুটোর সবচেয়ে বড় চাঁদ আবিষ্কৃত হয়েছিল ১৯৭৮ সালে। হাবল টেলিস্কোপ এ গ্রহের অন্য তিনটি চাঁদ সনাক্ত করেছিল ২০০৬ ও ২০১১ সালে। এই উপগ্রহগুলোর নাম নিক্স, হাইড্রা ও পি-ফোর। প্লুটো গ্রহটি ১৯৩০ সালে আবিস্কৃত হয়েছিল। মার্কিন বিজ্ঞানী ক্লাইড টমবাগ এটি আবিস্কার করেন। আমাদের সৌরজগতের নবম গ্রহ হিসেবে বিবেচিত হয়েও ২০০৯ সালে একে গ্রহের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়।