ওয়েব ডেস্ক: একটা দেশ পুরো লণ্ডভণ্ড। শক্তিশালী হ্যারিকেন ম্যাথিউয়ের পাগলামিতে তাসের ঘরের মত হাইতি। মধ্য আমেরিকার এই দেশে হ্যারিকেন ম্যাথিউয়ে মৃতের সংখ্যা ৮০০ ছাড়াল। মৃতের সংখ্যা হাজার ছাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা। দেশের একটা অংশের যোগাযোগ বিছিন্ন। অবস্থা এতটাই শোচনীয় যে উদ্ধারকারী দলের সদস্য খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সাম্প্রতিককালে ক্যারিবিয়ন দ্বীপপুঞ্জে আছড়ে পড়া সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হল ম্যাথিউ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০০৭ ছিল ফেলিক্স। এবার ম্যাথিউ। আতলান্তিক মহাসাগরে ঘণীভূত  সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড়ে বিপর্যস্ত জামাইকা। টানা বৃষ্টিতে বানভাসি রাজধানী কিংস্টন। অধিকাংশ রাস্তায় জল। থমকে যান চলাচল। ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার। বিদ্যুত্‍ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় অন্ধকারে বিস্তীর্ণ এলাকা। মাটি ধ্বসে বন্ধ বহু রাস্তা।


আরও পড়ুন- মোদীকে হুমকি দিয়ে সন্ত্রাসের পায়রা ওড়ালো পাকিস্তান


জামাইকার পর আরও কিছুটা শক্তি সঞ্চয় করে, চার নম্বর ক্যাটেগরির ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় ম্যাথিউ। গতি বাড়িয়ে, ঘণ্টায় ২২০ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়ে হাইতিতে। তছনছ হয়ে যায় ছবির মত সাজানো পর্যটন শহর পুয়ের্তো প্রিনসেপ এবং বন্দর শহর পোর্ট অ প্রিন্স। উত্তাল সমুদ্র আতঙ্ক ছড়ায় উপকূলবর্তী বিভিন্ন রিসোর্টে। দুর্যোগের কারণে বন্ধ হয়ে যায় বিমান ওঠা নামা। জামাইকা থেকে হাইতি যাওয়ার পথে, ম্যাথিউয়ের ছোঁয়া লাগে ডমিনিক রিপাবলিকে। ঝড়-বৃষ্টিতে ভিটেমাটি হারিয়েছেন সাড়ে আট হাজার মানুষ। বুধবার পর্যন্ত ক্যারেবিয়ন দ্বীপপুঞ্জের তিন রাষ্ট্রে সমস্ত স্কুল কলেজ বন্ধ।


আরও পড়ুন- টিনে করে মানুষের মাংস বিক্রি করছে চিন! (ভিডিও)