ওয়েব ডেস্ক: এতদিন আশঙ্কা করছিল বিভিন্ন মহল। এবার সেই আশঙ্কা সত্যি করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইম্পিচমেন্ট প্রস্তাব এনে ফেললেন ডেমোক্রেটিক প্রতিনিধি ব্র্যাড শেরম্যান। ২০১৬ সালের যে নির্বাচন জিতে ডোনাল্ড প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে বসেছেন সেই ভোটে রাশিয়ার যোগসাজোশের বিষয়ে তদন্তকারী এফবিআই ডিরেক্টর জেমস কোমিকে বরখাস্ত করে বিচার প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করার অভিযোগ এনে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইম্পিচমেন্ট প্রস্তাব এনেছেন ব্র্যাড শেরম্যান। এখন, মার্কিন কংগ্রেসের অধিকাংশ আইন প্রণেতা যদি এই ইম্পিচমেন্ট প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন জানায় তাহলে সংবিধান মোতাবেক খারিজ হবে নিউ ইয়র্কের এই কোটিপতি ব্যাবসায়ীর প্রেসিডেন্টের পদ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই নতুন করে অসংখ্য মার্কিন জনতা পথে নামেন ট্রাম্পের ইম্পিচমেন্টের দাবি নিয়ে। তাঁদের মত ছিল, প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে প্রায় প্রতিটি সিদ্ধান্তেই সাবেক মার্কিন রীতিনীতি এবং ভাবাবেগকে বিসর্জন দিয়ে এগিয়েছেন ট্রাম্প। তাই তাঁর অপসারণ প্রয়োজন।


এদিকে, ট্রাম্প পুত্র ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়ারের সঙ্গে জনৈক রুশ আইনজীবীর সাক্ষাতের প্রমাণ স্বরূপ বেশ কিছু ইমেল হাতে চলে আসে মার্কিন মিডিয়ার। তারপর অবশ্য 'স্বচ্ছতা' বজায় রাখতে সেই সব ইমেলের স্ক্রিনশট টুইটারে প্রকাশ করেন জুনিয়ার ট্রাম্প। ওই ইমেল থেকে জানা গেছে যে, সেই রুশ আইনজীবী ট্রাম্প পুত্রকে ভোটের আগে বলেন, জেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিন্টনের সঙ্গে রুশ যোগের তথ্য রয়েছে তাঁর কাছে এবং কীভাবে ভোটে জিততে সিনিয়র ট্রাম্পকে সাহায্য করতে চায় রাশিয়া তাও বলতে পারেন তিনি। এরপরই ট্রাম্প পুত্র তাঁর ভগিনীপতি (ইভাঙ্কার স্বামী, বর্তমানে মার্কিন প্রেসিডেন্টের অন্যতম উপদেষ্টা) জ্যারেড কুশনারের সঙ্গে ওই আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করেন। কিন্তু জুনিয়ারের মতে, কোনও 'কাজের জিনিস'ই সেই আইনজীবী দিতে পারেননি তাঁদের। কিন্তু, এই গোটা পর্ব সামনে আসতেই ঘরে বাইরে প্রবল চাপের মুখে পড়েছেন ট্রাম্প। (আরও পড়ুন- নির্বাচনে রুশ যোগ মেনে নিয়ে ওবামাকেই দূষলেন ট্রাম্প)