নিজস্ব প্রতিবেদন: পাক জেনারেল অ্যাসেম্বলিতে দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন ইমরান খান। শনিবার তাঁর শপথগ্রহণের কথা। পাক সাধারণের ফল প্রকাশের তিন সপ্তাহ পর পাক পার্লামেন্টের নিম্ন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী পদে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে নির্বাচিত হলেন তিনি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হতে ১৭২টি ভোট দরকার ছিল প্রাক্তন পাক ক্রিকেট অধিনায়কের। এদিনের ভোটাভুটিতে ১৭৬টি ভোট পান ইমরান। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ)-এর প্রার্থী শহবাজ শরিফ পান ৯৬টি ভোট। ভোটদানে অংশগ্রহণ করেনি বিলাওয়াল ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টি। 


গত ২৫ জুলাই প্রকাশিত হয় পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের ফল। তাতে দেখা যায় ইমরানের দল পিটিআই পেয়েছে ১১৬টি আসন। নওয়াজের পিএমএলএন পেয়েছে ৬৪টি আসন। বিলাওয়ালের পিপিপি পেয়েছে ৪৩টি আসন। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে সামান্য দূরে থামে ইমরানের দৌড়। তার পরেও প্রাদেশিক দলগুলির সমর্থনে প্রধানমন্ত্রীর মসনদে বসতে চলেছেন তিনি। 


"দুই দেশের সম্পর্ক অটল থাকুক", বাজপেয়ীর মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন ইমরানের


এবারের পাক নির্বাচনে প্রধান হয়ে ওঠে সেদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পানামা পেপার কেলেঙ্কারি। বিদেশে সম্পদ পাচারে অভিযুক্ত নওয়াজকে আগেই প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিল সেদেশের আদালত। ভোটগ্রহণের সপ্তাহখানেক আগে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে কারাদণ্ডের সাজা শোনান বিশেষ আদালতের বিচারক। এর পর লন্ডন থেকে দেশে ফিরলে বন্দি করা হয় নওয়াজ ও তাঁর মেয়ে মারিয়মকে। সেই থেকে জেলেই রয়েছেন তাঁরা। যদিও নির্বাচনে নওয়াজের জেলযাত্রার কোনও ফয়দা পায়নি পিএমএলএন। 


ওদিকে নির্বাচনের আগে থেকেই ক্রমশ প্রসঙ্গিক হয়ে উঠছিলেন ইমরান খান। সঙ্গে তাঁর মাথার ওপর ছিল পাক সেনার হাত। ভোটে কারচুপির অভিযোগও উঠেছে তার দলের বিরুদ্ধে।