নিজস্ব প্রতিবেদন: 'নতুন পাকিস্তানে'র স্বপ্ন সফল করতে যে কোনও মূল্যে নওয়াজ শিবিরকে হারাতেই হবে। এ জন্য প্রয়োজন হলে পাকিস্তানের আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে আসন রফা করতেও প্রস্তুত বলে জানালেন ইমরান খান। 'জিও নিউজ'-কে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে ক্রিকেট কিংবদন্তি তথা পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রধান জানিয়েছেন, ক্ষমতাসীন পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ-কে হারানোর জন্য তিনি বদ্ধপরিকর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২৫ জুলাই পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন। কিন্তু, কতটা প্রস্তুত ইমরানের দল? প্রশ্ন করতেই পাক ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক বলেন, ৩ থেকে ৫ জুলাইয়ের মধ্যেই তাঁর দল নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করবে। কিন্তু, পিটিআই তো নিজেই অন্তর্দ্বন্দ্বে কাহিল, তাহলে নওয়াজ বাহিনীকে কীভাবে পরাজিত করবে? এমন প্রশ্নের মুখে পড়ে দৃশ্যতই অস্বস্তিতে ইমরান। তবে দলীয় কোন্দলের কথা তিনি মেন নিয়েছেন। কিন্তু, জাহাঙ্গির তারিন ও শাহ মেহমুদ কুরেশির দ্বন্দ্ব যে এখন অতীত সেকথাও স্পষ্ট করেছেন পিটিআই সুপ্রিমো। ইমরান এদিন জানিয়েছেন, তাঁর দলে টিকিট বণ্টন হয়েছে প্রার্থীদের যোগ্যতার উপর ভিত্তি করেই। স্বাবাবিকভাবেই সব ইচ্ছুক কর্মীকে তিনি টিকিট দিয়ে উঠতে পারেননি। আরও পড়ুন- ‘আদর্শ মুসলিম রাষ্ট্র’ তৈরি করতে পাক নির্বাচনে লড়ছে ২৬৫ জঙ্গি


কিন্তু, ইমরান খানের ব্যক্তি জীবন নিয়ে তো প্রায়ই 'রসালো গল্প' ভেসে উঠছে সংবাদমাধ্যমে। এ ক্ষেত্রে তাঁর স্ট্র্যাটেজি কী? ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে যে রুচিহীন চর্চা চলবে, এ বিষয়ে মোটামুটি নিশ্চিত প্রাক্তন এই ক্রিকেটার। তিনি আরও জানেন, এজন্য বিরোধীদের সহায়ক হবে তাঁরই প্রাক্তন স্ত্রী রেহম খানের প্রকাশ পেতে চলা বই। তবে এসব নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না ৬৫ বছরের তরুণ। তাঁর আস্থা রয়েছে পাক জনতার উপর। এই সাক্ষাত্কারেই ইমরান জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর দল ক্ষমতায় এলে দুর্নীতিতে রাশ টানতে প্রাদেশিক আইনসভা ও ন্যাশানাল অ্যাসম্বলিকে উন্নয়ন তহবিল দেওয়া হবে না। আরও পড়ুন- শর্ত-সাপেক্ষে নির্বাচনে মনোনয়ন জমা করার অনুমতি পেলেন মুশারফ


উল্লেখ্য, শুক্রবারই মনোনয়ন জমা দিয়েছেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বিলাবল ভুট্টো জারদারি এবং ইমরান খান। এবারের নির্বাচনে বেনজির ভুট্টোর পুত্র লড়ছেন মোট দুটি কেন্দ্র থেকে- করাচির লিয়ারি এবং লারকানা। অন্যদিকে পিটিআই প্রধান ইমরান লড়ছেন মোট ৫টি আসনে-ইসলামাবাদ, লাহোর, করাচি পূর্ব, মিয়ানওয়ালি এবং বান্নু।