ক্ষমতা হারানোর ভয়ে সুপ্রিম রায়কে ফুত্কারে উড়িয়ে দিল মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট
২০১৫ সালে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট নাসিদকে সন্ত্রাসি কার্যকলাপের অভিযোগে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেয় বর্তমান ইয়ামিন সরকার। শারীরিক অসুস্থতার কারণে নাসিদ রয়েছেন দেশের বাইরে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: নির্দেশকে কার্যকর করতে সরকারের উপর আরও কড়া মনোভাব পোষণ করল মালদ্বীপ সুপ্রিম কোর্ট। জানাল, রাজনৈতিক বন্দি এবং বিরোধী নেতাদের দ্রুত মুক্ত করা হোক। মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা ইয়ামিনকে রবিবার এমন নির্দেশ দেওয়ার পর আরও বেঁকে বসেছে তাঁর সরকার। সুপ্রিম কোর্ট জোর করে চাপিয়ে দিচ্ছে নির্দেশ হুমকি দিয়েছে ইয়ামিন সরকার।
আরও পড়ুন- মার্কিন অভিবাসন নীতির ফ্যাসাদে পড়ে গ্রেফতার বাংলাদেশি রসায়নবিদ
রবিবার সে দেশের সুপ্রিম কোর্ট জানায়, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বন্দি করা হয়েছে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ নাসিদ-সহ বিরোধী নেতাদের। তাঁদেরকে অবলম্বে মুক্ত করার নির্দেশ দেওয়ার পর পরই অ্যাটর্নি জেনারেল মহম্মদ অনিল বলেন, "ইয়ামিনকে সরানোর চেষ্টা চলছে। এটা অগণতান্ত্রিক এবং আইনবিরুদ্ধ। পুলিস এবং সেনাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই আইন বলবত্ করতে কোনও পদক্ষেপ না করে।" সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, আদালতের রায় আসার পরই উচ্চ পদস্থ দুই পুলিস অফিসারকে সরিয়ে দিয়েছেন আবদুল্লা ইয়ামেন। এদিকে সুপ্রিম কোর্টের রায় অমান্য করায় মালদ্বীপ সরকারের সমালোচনা করেছেন শ্রীলঙ্কা এবং মালদ্বীপে নিযুক্ত মার্কিন দূত অতুল কাশ্যপ।
আরও পড়ুন- UAE-তে কাজের ভিসা পেতে এবার থেকে বাধ্যতামূলক হল চরিত্রের শংসাপত্র
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট নাসিদকে সন্ত্রাসি কার্যকলাপের অভিযোগে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেয় বর্তমান ইয়ামিন সরকার। শারীরিক অসুস্থতার কারণে নাসিদ রয়েছেন দেশের বাইরে। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর নাসিদ এবং তাঁর দল মালদিভিয়ান ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অনেকটাই অক্সিজেন পাবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এর ফলে ইয়ামিন সরকার পড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে বলে মত তাঁদের। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ নাসি প্রথম নির্বাচনের মাধ্যমে ২০১২-তে ক্ষমতায় এসেছিলেন।