ঋতুপর্ণা ভট্টাচার্য:  রস্কার আগমন ঘটছে ফিনল্যান্ডে | প্রকৃতি সেজে উঠেছে শরতের রঙ্গে।  বাঙালির শরত এবং বিদেশি অটাম এই সময় মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় ফিনল্যান্ডে। ঠিক সেই সময় হেলসিঙ্কিতে আগমন হয় মা দূর্গার। হেলসিঙ্কির  বেঙ্গলি এসোসিয়েশনের তখন পুজো শুরুর সাজো সাজো রব। ১৯৯৮ সাল থেকে শুরু হওয়া এই পুজোর মূলমন্ত্রই হল মিলন। একেবারে শুরুর দিকে যে প্রতিমা দিয়ে পুজো শুরু হয়েছিল। সেই প্রতিমা ডোনেশন করে দেওয়া হয়েছে মিউজিয়ামে। তারপর থেকেই একে ঘিরে বেশ কয়েকদিন ধরে স্থায়ী এগজিবিশন চলে এখানে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Durga Puja in Bangladesh: দুর্গাপুজোয় হামলার আশঙ্কা, দেশের সব মণ্ডপে কড়া নিরাপত্তা বাংলাদেশে



 প্রায় দুশো মানুষের সমাগমে সেই সময় গম গম করে পুজো মণ্ডপ। আয়োজনে রীতিমতো কোনও কমতি রাখেন না এখানকার লোকজন । প্রত্যেকবছর পুজোতে প্রকাশিত হয় ম্যাগাজিন। ম্যাগাজিনের নাম সৃজন। আগে এই একটিমাত্র পুজো হত গোটা অঞ্চল জুড়ে। এখন বাংলাদেশিদের পুজোও শুরু হয়েছে এখানে । ভোগ, সন্ধিপুজো, ধুনোর গন্ধ সব মিলিয়ে এই চারদিন একেবারে আনন্দে মজে থাকেন সকলে। কবিতা, নাচ,গান ঘরোয়া আসরে জমে ওঠে পুজোর সন্ধেগুলো। নস্টালজিক আবহাওয়া যেন নিয়ে চলে যায় অন্য আমেজে।


পড়ুন, বাঙালির প্রাণের উৎসবে আমার 'e' উৎসব। Zee ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল শারদসংখ্যা



পুজোর অনেক দিন আগে থেকেই প্রস্তুতি পর্ব শুরু হয়ে যায় এলাকায়। পুজোর শুরটা তাই একসঙ্গে মিলে কাটে বেশ জমজমাটি।  বিদেশি থেকে স্বদেশী শারদোৎসবের কোন সীমারেখা নেই পৃথিবী জুড়ে। পরিযায়ী জীবনে মুখ বদলেছে অনেকের। সেই তালিকায় এসেছে নতুনের মুখ। তবে পুজোর এই সময়টুকু সকলে সব ভুলে নিজেদের মতো করে মেতে ওঠে আনন্দে। পুজোর এই চারটে দিন হইচই করেই কাটে এলাকার মানুষদের। আসা যাওয়ার নিবিড় পথ ধরেই যেন মা সকলের দুঃখ দুর্দশার কাটিয়ে দেন এই কটা দিন। ফিনল্যান্ডের কনকনে ঠান্ডা মনের উত্তাপ ঠেকিয়ে রাখতে পারেনি কোনদিনই। আগামীতেও পারবে না এমনই আস্থা এলাকাবাসীর। এই ঠাণ্ডা উপেক্ষা করেও এই পুজোর পারদ চড়ে রয়েছে ফিনল্যান্ডের এলাকা জুড়ে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)