নিজস্ব প্রতিবেদন: ইটের জবাব পাটকেলে নয়। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কার্যত কামান দেগে বসলেন ভারতের ‘স্থায়ী মিশনের’ প্রথম সচিব সেনথিল কুমার। ক্ষেত্র রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার পরিষদের ৪৩ তম অধিবেশন। ইট ছোড়া শুরু করেছিল প্রথমে পাকিস্তান। তাদের প্রথাগত ইস্যু কাশ্মীর। অনুচ্ছেদ ৩৭০ প্রত্যাহারে লঙ্ঘিত হচ্ছে কাশ্মীরিদের মানবাধিকার। এই অভিযোগে ইসলামাবাদ সরব হলে প্রত্যুত্তরে দিল্লি জানায়, নিজের দেশ নিয়ে অন্তর্দশন করুক পাকিস্তান। সে দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন একটা রীতি হয়ে গেছে বলে জানান সেনথিল কুমার। তুলে ধরেন একাধিক উদাহরণ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সেনথিল কুমারের অভিযোগ, পাকিস্তান প্রতিবারই মানবাধিকার পরিষদের মঞ্চকে অপব্যবহার করেছে। মিথ্যে তথ্য পরিবেশন করে ভুল পথে পরিচালনা করার চেষ্টা করেছে। এটা দুর্ভাগ্যের। দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র দেশ পাকিস্তান, যেখানে গণহত্যায় রাষ্ট্র মদত জোগায়। সে দেশ কীভাবে অন্য দেশের সমালোচনা করার স্পর্ধা পায়! এখানেই ক্ষান্ত থাকেননি সেনথিল। তিনি বলেন, “যে দেশের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে সে দেশ মানবাধিকার ও আত্মপ্রত্যয় নিয়ে কথা বলে। ধর্ম এবং রক্তের ভিত্তে যে দেশের উত্থান, তার ভূরি-ভূরি গণহত্যার উদাহরণ রয়েছে।”


আরও পড়ুন- রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১১,৪৯৪; গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু আরও ১০ জনের


পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে ধরেন সেনথিল কুমার। তিনি বলেন, “ধর্মনিন্দা আইনে সংখ্যালুঘদের উপর অত্যাচার অব্যাহত সেখানে।” উদাহরণ টানেন সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সিন্ধে দুই হিন্দু মেয়ে, লাহোরে এক খ্রিস্টান মেয়ে, চালেকিতে এক আহমাদি মহিলা, খারিপুরে দুই অধ্যাপকের হত্যার ঘটনা। ২০১৫ সালের পর থেকে ৬৫ জন রূপান্তরকামীর হত্যা হয়েছে। বালুচিস্তানের প্রসঙ্গ টেনে আনেন তিনি। সেনা অভ্যুত্থান, গণহত্যা, ডিটেনশন ক্যাম্প, সেনার চোখরাঙানি নিত্য দিনের ঘটনা বালুচিস্তানে।