নিজস্ব প্রতিবেদন: মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কিনা এখন পর্যন্ত তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। জানা গিয়েছে, ‘বে অব বেঙ্গল ইনিসিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকনমিক কো-অপারেশন’ (বিমসটেক) অন্তর্ভুক্ত দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, যেখানে পাকিস্তান বা চিনের মতো প্রতিবেশী দেশ নেই। তবে, সৌজন্যবোধের খামতি নেই ভারতের। রমজান উপলক্ষে পাকিস্তানে অবস্থিত ভারতের হাই কমিশনার ইফতারে আমন্ত্রণ জানাল পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে। পাক প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি এবং অন্যান্য মন্ত্রীদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়। তবে, পাক প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো এই প্রথম নয়। প্রতি বারই সে দেশের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয় কিন্তু কোনও প্রধানমন্ত্রীই সেই আমন্ত্রণে সাড়া দিতেন না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


কিন্তু এ বার ইমরান খান কী করেন সেটাই এখন দেখার। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যে কোনও অজুহাতে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক চালিয়ে যেতে চান ইমরান খান। কিন্তু ভারত প্রতি ক্ষেত্রেই প্রত্যাখ্যান করেছে ইমরানের আর্জি। পুলওয়ামা হামলার পর আর বেশি স্পর্শকাতর হয়ে উঠেছে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক। ভারতীয় বায়ুসেনার বালাকোট হামলায় পরিস্থিতি আরও চরমে ওঠে। সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে কোনও আপস নয় বলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্পষ্ট জানিয়ে দেন।


আরও পড়ুন- ভোটের মতো সাত দফায় তৃণমূলকে ভাঙব, দিল্লিতে গণ-যোগদান করিয়ে হুঙ্কার কৈলাসের


জইশ প্রধান মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি তকমা দেওয়ার ক্ষেত্রে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। চিন সম্মতি দেওয়ায় কার্যত কোণঠাসা হয়ে পড়ে পাকিস্তান। মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে ইমরান খান আমন্ত্রণ না পেলেও তাঁর সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠক করতে রাজি জানায় পাক বিদেশমন্ত্রক। জুনেই সাংহাই কো-অপারেশন অরগানাইজেশন সামিট অংশগ্রহণ করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে উপস্থিত থাকতে পারেন পাক প্রধানমন্ত্রী-ও।