যোগী আদিত্যনাথ নিয়ে `মার্কিন টিপ্পনী`র যোগ্য জবাব ভারতের
ভারতীয় রাজনীতির `রঙিন রাজ্য` উত্তরপ্রদেশ। `মিনি ভারতে`-এর রাজনীতির গতিপ্রকৃতির উপর নজর থাকে সারা দেশের সঙ্গে বিদেশেরও। দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ১৫ বছর পর উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় ফিরেছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে বিস্তর জল্পনা হলেও, অবশেষে উত্তরপ্রদেশের সুবেদারির দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে গোরক্ষপুর মন্দিরের মোহন্ত তথা গোরক্ষপুরের পাঁচ বারের সাংসদ যোগী আদিত্যনাথের উপর।
ওয়েব ডেস্ক : ভারতীয় রাজনীতির 'রঙিন রাজ্য' উত্তরপ্রদেশ। 'মিনি ভারতে'-এর রাজনীতির গতিপ্রকৃতির উপর নজর থাকে সারা দেশের সঙ্গে বিদেশেরও। দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ১৫ বছর পর উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় ফিরেছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে বিস্তর জল্পনা হলেও, অবশেষে উত্তরপ্রদেশের সুবেদারির দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে গোরক্ষপুর মন্দিরের মোহন্ত তথা গোরক্ষপুরের পাঁচ বারের সাংসদ যোগী আদিত্যনাথের উপর।
কট্টর হিন্দুত্ববাদী নেতা হিসেবে পরিচিত যোগী আদিত্যনাথ এর আগে বহু বিতর্কে জড়িয়েছেন। এরকম একজনকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচন করায়, একদিকে দেশের ভিতরে যেমন 'ঝড়' ওঠে, তেমনই বিদেশের বিভিন্ন মিডিয়াও প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই সিদ্ধান্তের পিছনে 'কারণ' খুঁজতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। যোগী আদিত্যনাথকে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগের সমালোচনা করে নিউ ইয়র্ক টাইমস। তাদের সম্পাদকীয়তে এই নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। যার যোগ্য জবাব দিল ভারত।
'Mr Modi's Perilous Embrace of Hindu Extremists' শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, "খুব নিপুণ অঙ্ক কষেছেন মোদী। অর্থনৈতিক উন্নয়নকে সামনে রেখে হিন্দুত্বের তাস খেলেছেন মোদী। যোগী আদিত্যনাথকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেওয়া যার অন্যতম উদাহরণ। যতই তিনি মুখে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলুন না কেন, সংখ্যালঘুদের জন্য এটা ভালো ইঙ্গিত নয়।" এরপরই আসরে নামেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র গোপাল বাগলয়। স্পষ্ট জানিয়ে দেন, মার্কিন দৈনিকের এহেন আচরণ 'প্রশ্নসাপেক্ষ'। তিনি বলেন, "জনতায় রায়কে নিয়ে সন্দেহপ্রকাশ করা হচ্ছে ওই প্রতিবেদনে। ভারত এটা কখনওই ভালোভাবে দেখছে না।"
আরও পড়ুন, যোগী আদিত্যনাথকে এবার সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানালেন এক বিধায়ক!