নিজস্ব প্রতিবেদন: ভারত না 'স্কেপ-গোট' হয়ে দাঁড়ায়! টোকিয়োয় সদ্য অনুষ্ঠিত 'কোয়াড' (কোয়াড্রিল্যাটেরাল সিকিউরিটি) বৈঠকের যা আবহ, তা থেকে এমনটা যদি কারও মনে হয়, তাঁকে দোষ দেওয়া যায় না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

চারটি দেশ আমেরিকা, জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং ভারতের অংশগ্রহণে নির্মিত হয়েছে 'কোয়াড' অক্ষ। বোঝাই যাচ্ছে, চারটি দেশের স্বার্থে একটিই সাধারণ সূত্র-- চিন-বিরোধিতা।


চিনের সঙ্গে কূটনৈতিক টক্করের পর্বে 'কোয়াড'-এর সদস্যভূমিকা ভারতকে বিশেষ সাহায্য করবে বলেই ধারণা। আর এ কথা তো সকলেই জানে, এই মুহূর্তে চিন ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক বেশ ঠান্ডা-গরম। তবে এ-ও ঠিক, দু'দেশের সীমান্তে যত সংঘর্ষই হোক, আসল সংঘর্ষের আবহ কিন্তু তৈরি হয়ে যায় কোনও রুদ্ধদ্বার বৈঠকে। যেমন এই 'কোয়াড' বৈঠকে হল।


এ দিকে চিন চির কালই গোপন কূটনৈতিক আদানপ্রদানে সিদ্ধহস্ত। আর ভারত এ বিষয়ে বরাবরই পিছিয়ে। চিনের বাণিজ্যিক ও সামরিক দখল নিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশও উদ্বিগ্ন, বিরক্ত। সেই মনোভাব বুঝতে পারা যায় ভারত-সহ বাকি তিনটি দেশের চিন নিয়ে আশঙ্কার পরিমাণ দেখে।


ভারতের ক্ষেত্রে চিনের সমস্যা সীমান্ত নিয়ে এবং প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে চিনের গোপন বোঝাপড়া নিয়ে। ২০১৭ সালে চিনের 'বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ' আরম্ভ হওয়ার পরেই ভারত দুশ্চিন্তায় থেকেছে। লাদাখে দু'দেশের সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর আরও স্পষ্ট, কেন ভারতকে চিনের সঙ্গে দ্রুত অর্থনৈতিক বোঝাপড়ায় আসতে হবে। কেন অন্য দেশের সঙ্গে সংযোগও তাকে বাড়াতে হবে। সেই দিক থেকে আন্তর্জাতিক পরিসরে বৈদেশিক সম্পর্কের প্রেক্ষিতে 'কোয়াড' ভারতের জন্য গৌরবের বিরল মুহূর্ত তৈরি করল।


ভারত ছাড়া বাকি তিন দেশেরই মূল মাথাব্যথা অবশ্য দক্ষিণ চিন সাগর। আর কোয়াড বৈঠক দেখিয়ে দিল, চিন বিষয়ে ভারতের চেয়ে অনেক বেশি চড়া সুর আমেরিকার। করোনাভাইরাস সঙ্কট সে দেশে এমনিতেই চিনবিরোধী হুজুগ তোলার সুযোগ এনে দিয়েছে। কিন্তু আমেরিকার সঙ্গে হাত মিলিয়ে পুরোপুরি চিন-বিরোধিতায় নেমে যাওয়ার কিছু অসুবিধা আছে ভারতের। 


আর্থাৎ, আমেরিকার চড়া সুরে ভারতের খুব বেশি আনন্দিত হওয়ার কিছু নেই। উল্টে, সতর্কই থাকতে হবে ভারতকে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে সাবধানে পা ফেলতে হবে।


আরও পড়ুন: অ্যান্টিবডি লড়তে পারে মাত্র পাঁচ-সাত মাস, দাবি বিজ্ঞানীদের