ওয়েব ডেস্ক: সংঘাতের মধ্যে দিয়েই সূচনা হল ট্রাম্প জমানার। শপথের দিন বিক্ষোভ, অশান্তিতে উত্তাল হল আমেরিকা। ট্রাম্প অবশ্য বুঝিয়ে দিয়েছেন, বিক্ষোভ নিয়ে আদৌ তাঁর মাথাব্যথা নেই। ওভাল অফিসে পা দিয়েই তাঁর নির্দেশ, পুরোপুরি খারিজ না হওয়া পর্যন্ত, ওবামাকেয়ারে সরকারি খরচ কমাতে হবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


মার্কিন মুলুকে নজিরবিহীন পালাবদল। নতুন প্রেসিডেন্টের শপথ। আর সেদিনই বিক্ষোভ, অশান্তিতে উত্তাল আমেরিকা। তবে কুছ পরোয়া নেই। ভোটপর্বে যেভাবে হেলায় উড়িয়েছেন সমালোচকদের, ওভাল অফিসেও ইনিংস শুরু করলেন ঠিক সেই স্টাইলেই। উদ্বোধনী ভাষণে বললেন, অন্য দেশের আবর্জনা আর বইবে না আমেরিকা। বললেন, "আমেরিকার মানুষের কথা ভেবেই বাণিজ্য, কর কাঠামো, অভিবাসন এবং বিদেশনীতি সংক্রান্ত যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যে সব দেশ আমাদের পণ্য, আমাদের সংস্থা এবং আমাদের জীবিকা ছিনিয়ে নিচ্ছে, তাদের থেকে আমাদের সীমান্তকে রক্ষা করতে হবে।" সন্ত্রাসবাদী এবং কট্টরপন্থীদেরও রেয়াত করেননি ট্রাম্প। নতুন প্রেসিডেন্টের প্রত্যয়ী স্বর, "সভ্য দুনিয়াকে একজোট হয়ে কট্টরপন্থী ইসলামি সন্ত্রাসবাদকে পৃথিবীর বুক থেকে মুছে দিতে হবে।"


আরও পড়ুন- শপথের পরেই হুঙ্কার ৪৫তম মার্কিন প্রেসিডেন্টের


 


কিন্তু চমকের আরও বাকি ছিল। বারাক ওবামার স্বপ্নের স্বাস্থ্য পরিষেবা আইন বা AFFORDABLE CARE ACT-এর মূলেই ধাক্কা দিলেন ট্রাম্প। ওভাল অফিসে পা দিয়ে তাঁর প্রথম EXECUTIVE ORDER-এর নির্দেশ, যতদিন না ওবামাকেয়ার খারিজ করে অন্য আইন আনা হচ্ছে, সব বিভাগ ও সংস্থাকে এই প্রকল্পের আর্থিক বোঝা কমাতে হবে।


 


ওবামা জমানার উল্টোপথে যে তিনি হাঁটবেন, তা প্রচারপর্বেই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসে ঢুকেই বুঝিয়ে দিলেন, জ্বালাময়ী ভাষণ দিয়েই ক্ষান্ত নন তিনি। দেশজুড়ে বিতর্ক, অশান্তি, বিক্ষোভ, যাই হোক। আমেরিকার রাশ যে তাঁরই হাতে, তা প্রথম স্ট্রোকেই বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।


আরও পড়ুন- প্ল্যাকার্ড, বিক্ষোভ আর স্লোগানের মধ্যে শুরু ট্রাম্পের ইনিংস; খামবন্দি চিঠিতে ওবামার শেষ বার্তা