আমেরিকাকে উপসাগরের তেল রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিল ইরান
উল্লেখ্য, বারাক ওবামা প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ইরানের সঙ্গে যে পরমাণু চুক্তি হয়েছিল, ক্ষমতায় এসে সেই চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ইটের জবাবে পাটকেল ছুড়লেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রৌহানি। বিশ্বের চতুর্থ তেল উত্পাদনকারী দেশ ইরানকে ভাত-পাতে দুটোতেই মারার চেষ্টা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। প্রথম, পরমাণু চুক্তি ভঙ্গ করে ইরানের ওপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়। দ্বিতীয়, ইরানের থেকে তেল না কেনার জন্য সহযোগী দেশগুলির উপর ওয়াশিংটনের ক্রমশ চাপবৃদ্ধি। ইরান এবার স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, তেল আমদানি রুখলে, পারস্য উপসাগর থেকে রপ্তানি সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হবে। বাস্তবে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে, বিশ্ব তেলের বাজারে অরজাকতা তৈরি হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন- ইন্সপেক্টর খুনের ঘটনায় পুলিসের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নয়, সাফ জানালো যোগীর প্রশাসন
উল্লেখ্য, বারাক ওবামা প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ইরানের সঙ্গে যে পরমাণু চুক্তি হয়েছিল, ক্ষমতায় এসে সেই চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাশাপাশি ইরানের ওপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়। এর ফলে সে দেশের অর্থনীতি ক্রমশ দুর্বল হচ্ছে। দরও পড়ছে সে দেশের মুদ্রা রিয়ালের। মুদ্রাস্ফীতির জেরে কোপ পড়েছে ব্যাঙ্কের ঋণনীতিতে। অন্দরে ইরান যতটাই কোণঠাসা বাইরেও মাটি সরছে তেহরানের।
আরও পড়ুন- গো-তাণ্ডবে হত ইন্সপেক্টর খুনের পিছনে রয়েছে যোগীর পুলিসই!
ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক থাকায় ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি দেশের উপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক শূন্যে আনতে হোয়াইট হাউসের তরফে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। সাময়িকভাবে ভারত-সহ ৮টি দেশকে নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে রেখেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে, ইরানের সঙ্গে লেনদেন কমিয়ে আনার জন্য ‘বন্ধু’দেশগুলির উপর ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্রমশ চাপে রাখছেন।
এক টেলিভিশন সাক্ষাত্কারে রৌহানি বলেন, “আমেরিকার জেনে রাখা উচিত, আমরা এখনও তেল বিক্রি করছি। ভবিষ্যতেও করব। তেল রপ্তানি রুখতে পারবে না তারা।” রৌহানির আরও হুঁশিয়ারি, যদি কোনও দিন তেল রপ্তানি বন্ধ করার চেষ্টা করে, তা হলে পারস্য উপসাগরের সম্পূর্ণ তেল রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়া হয়।