নিজস্ব প্রতিবেদন: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে চাপান-উতোর আরও চরমে। ইরানের সংসদে ‘আমেরিকাকে মৃত্যুদণ্ড’ দেওয়ার স্লোগান উঠল। শনিবার, সংসদের ডেপুটি স্পিকার মাসুদ পেজেসকিয়ান জানান, বিশ্বের সত্যিকারের জঙ্গি দেশ আমেরিকা। তারাই বিভিন্ন দেশে অশান্তি সৃষ্টি করে। জঙ্গি সংগঠনদের অস্ত্র জোগান দেয়। আবার তারাই সমঝোতার চেষ্টা চালায়। এরপরই সাংসদরা ‘আমেরিকার মৃত্যু হোক’ বলে স্লোগান তোলেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


উল্লেখ্য,  বৃহস্পতিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘নেভি আরকিউ গ্লোবাল হক’ নামে একটি নজরদারি ড্রোন নামায় ইরান। ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ওই ড্রোন নামানো হয়েছে বলে তেহেরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। ইরানের এই পদক্ষেপকে ‘বড় ভুল’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এরপরই পালটা আক্রমণের নির্দেশ দেন তিনি। এমনটাই খবর ছিল হোয়াইট হাউজ সূত্রে। তবে, তত্ক্ষণাত্ সেই সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। 


আরও পড়ুন- হায়দরাবাদের শতাব্দী প্রাচীন মসজিদের নাম প্রধানমন্ত্রী মোদীর নামে! আসল সত্যটা কী?


 ইরানের ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)-র অভিযোগ, তাদের আকাশসীমায় প্রবেশ করেছিল ওই নজরদারি ড্রোনটি। সে অভিযোগ অস্বীকার করে মার্কিন সেনা। তাদের তরফে জানানো হয়, ড্রোনটি আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় ওড়ছিল। হরমুজ প্রণালীতে বিধ্বস্ত তেলের ট্যাঙ্কের উপর ড্রোনটি নজরদারি চালাচ্ছিল বলে দাবি আমেরিকার।


সম্প্রতি, ওই প্রণালীতে একাধিক তেলের ট্যাঙ্কে হামলা চালানোর অভিযোগ ইরানের বিরুদ্ধে ওঠে। ইরান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্ক এই মুহূর্তে তলানিতে ঠেকেছে। ২০১৫ সালে পরমাণু চুক্তি থেকে আমেরিকা বেরিয়ে এসে ইরানের উপর কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।