নিজস্ব প্রতিবেদন: দেশের অর্থনীতি কার্যত বিপর্যয়ের মুখে। মু্দ্রা রিয়্যালের দর নেমেছে তলানিতে। আর আকাশ ছুঁয়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দর। এমতাবস্থায় ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রৌহানি দাবি করেছেন, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ইরান গর্বের সঙ্গে অবজ্ঞা করছে। কারণ তাদের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক আইনের বিরোধী। রৌহানি মেনে নিচ্ছেন, কঠিন সময়ের মধ্যে এগোতে হচ্ছে তাঁদের। কিন্তু আমেরিকার ‘দাদাগিরি’কে কোনওভাবেই বরদাস্ত করবে না, সেই হুঁশিয়ারিও শুনিয়ে রাখলেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- কর্মীদের হেনস্থা ঠেকাতে সংস্থা তেমন সক্রিয় নয়, বিক্ষোভ গুগল কর্মীদের


এক টেলিভিশন সাক্ষাত্কারে রৌহানি বলেন, “আমেরিকার ইতিহাসে এমন নজির আছে কি-না জানা নেই, হোয়াইট হাউজে যিনি এলেন তিনিই আইন এবং আন্তর্জাতিক বিধি নিষিধের বিরোধী।” উল্লেখ্য, এর আগে এক দফা মার্কিন নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে ইরানের উপর। সোমবার দ্বিতীয় দফা নিষেধাজ্ঞা চাপাতে চলেছে আমেরিকা। যেখানে অপরিশোধিত তেল এবং পেট্রোপণ্যের উপর কড়া বিধি-নিষেধ আরোপ করা হচ্ছে। হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, ইরানের সঙ্গে যে সব দেশ বাণিজ্যিক সম্পর্ক রাখবে, তাদের উপরও ঘনিয়ে আসবে একই নিষেধাজ্ঞা। তবে, ভারত, তুরস্ক, জাপান-সহ ৮টি দেশকে সাময়িক ভাবে এই নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে চিন, দক্ষিণ কোরিয়াও রয়েছে সেই তালিকায়।


আরও পড়ুন- হাইওয়ে থেকে গাছের মগডালে গাড়ি, সেখানেই মহিলাচালক রইলেন ৬ দিন!


মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেও যদিও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আমরা কী করছি শুধু দেখতে দেখুন। নজিরবিহীনভাবে বাজার থেকে জ্বালানি তেল উত্পাদন কমিয়েছি। দেখি কীভাবে মোকাবিলা করে তারা।” গত মে মাসে বারাক ওবামার সময়ের পরমাণু চুক্তি ইরানের সঙ্গে ভঙ্গ করে একাধিক ক্ষেত্রে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা চাপান ডোনাল্ড ট্রাম্প।


২০১৩ সালে ক্ষমতায় আসেন হাসান রৌহানি। মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিভিন্ন পদক্ষেপে সমালোচনা করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। যার ফলস্বরূপ কোপ পড়ে ইরানের উপর। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তে প্রবল সমালোচনা করেছে ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, চিন এবং রাশিয়া। ইউরোপের অনেক দেশের উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।