জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্য়ুরো: হিজাবের বিরোধিতা করে ইরানের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে শুধুমাত্র অন্তর্বাস পরে বেরিয়ে পড়েন এক তরুণী। সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে ইসলামিক আজাদ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে হেঁটে চলেছেন ওই তরুণী। তাকে পুলিস গ্রেফতার করেছে। তার পর থেকে তার আর কোনও খবর নেই। প্রশ্ন উঠছে, ওই তরুণীর পরিণতিও কি মাহসা আমিনির মতো হবে?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ন-'বাতের সমস্যা আছে', জেলে ম্যাট্রেস দেওয়ার আবেদন সন্দীপের!


কে ওই তরুণী তা নিয়ে এখনও কিছু জানা যাচ্ছে না। সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখা হচ্ছে দেশের ড্রেস কোডের বিরোধিতা করেই ওই কাজ করেছেন ওই তরুণী। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলেছে পুলিসের দাবি ওই তরুণী মানসিক বিকারগ্রস্থ। বিশ্ববিদ্য়ালয়ের মুখপাত্র আমির মাহজোব শুধু জানিয়েছেন, ওই মহিলা দুই সন্তানের মা।


কোথায় ওই মহিলা? এটাই এখন বড় প্রশ্ন। সোশ্য়াল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে একদল লোক জোর করে তাকে একটি গাড়িতে তুলেছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে ওই তরুণীকে পুলিস ধরে নিয়ে গিয়েছে। কিন্তু কোনওভাবেই নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না তিনি এখন কোথায়। আমিক কবির নামে এক নিউজ লেটারে বলা হয়েছে ওই তরুণীকে নিয়ে যাওয়ার সময় তাকে প্রবল মারধর করা হয়। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ওই তরুণীর মুক্তির দাবি করেছে।


এরকম না হলেও ইরানের আর এক প্রতিবাদী তরুণীর করুণ পরিণতি হয়েছিল। মাথা ঢাকা না দেওয়ার জন্য  পুলিস তুলে নিয়ে যায় মাহসা আমিনি নামে এক তরুণীকে। ২৪ ঘণ্টা পর তার মৃতদেহ পাওয়া যায় পুলিসি হেফাজতে। ওই ঘটনার প্রতিবাদে দেশজুড়ে আন্দোলনে নামেন ইরানের মানুষজন। বিক্ষোভ থামাতে ৫০০ প্রতিবাদীকে গুলি করে মারে পুলিস।



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)